চার দাবি মানলে প্রাথমিকে ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত মানবেন শিক্ষকরা: শামসুদ্দিন মাসুদ

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ © টিডিসি সম্পাদিত

সরকারের ছুটি কমানোর সিদ্ধান্তের আগে চারটি দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ। তিনি রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ছুটি কমানোর আগে আমাদের বিভাগকে নন-ভ্যাকেশনাল ঘোষণা করতে হবে। এখন ভ্যাকেশনাল থাকায় অবসরের পর অনেক সুবিধা পাই না। এ ছাড়া আমাদের তিন দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, তাও মেনে নিতে হবে।’ 

এসব দাবি না মানলে ছুটি কমানোর সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শামসুদ্দিন মাসুদ। তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় দিবস, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সহ ৭-৮ দিন ছুটি থাকলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়। প্রধান শিক্ষকের হাতে সংরক্ষিত ছুটি ৩ দিন, যা কখনো শিক্ষকরা ভোগ করেন না বা করতে পারেন না।’

এর আগে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ছুটির সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছে সরকার। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

আরও পড়ুন: বছরে প্রাথমিকের ছুটি এখন ৭৫ দিন, কতদিন কমছে?

বর্তমানে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে গড়ে ৭৫ দিন ছুটি দেওয়া হয়। তবে বিভিন্ন আন্দোলন, দুর্যোগ বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখন ঘাটতি বাড়ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। এজন্য ছুটি ১৬ থেকে ২০ দিন কমিয়ে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষক-ছাত্রের সঙ্গে কতটুকু সময় দিতে পারছেন, সেটি আমাদের দেখতে হবে। মাত্র ১৮০ দিন স্কুল খোলা থাকছে। অপ্রয়োজনীয় ছুটি কমানো হতে পারে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া শিক্ষকদের শিক্ষাবহির্ভূত কাজ থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।