এইচএসসির পর যে প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে এগিয়ে রাখবে শিক্ষার্থীদের
- ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬
এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রতিযোগিতা। হাতে সময় কম, তাই এখনই প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রস্তুতি। সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে এ স্বল্প সময়কেও কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জন সম্ভব—এমন মত সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রস্তুতি একেবারেই ভিন্ন ধরনের। শুধু বই মুখস্থ করার চেয়ে এখানে বেশি প্রাধান্য পায় বিশ্লেষণী ক্ষমতা, দ্রুত চিন্তা করে সঠিক উত্তর দেওয়ার কৌশল এবং সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা।
পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি
প্রথম ধাপেই শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা করে নিতে হবে—কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক। কারণ, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ও প্রশ্নপদ্ধতি আলাদা। ফলে আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়াটাও জরুরি।
নিয়মিত রুটিন করে পড়াশোনা
প্রতিদিন সব বিষয় নিয়েই পড়াশোনা করা উচিত। একদিন শুধুমাত্র ইংরেজি, আরেকদিন শুধু গণিত পড়ার বদলে প্রতিদিনই নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী সব বিষয়ের ওপর একটু করে হলেও চর্চা করতে হবে। এতে করে কোন বিষয়েই পিছিয়ে পড়ার সুযোগ থাকে না।
রিভিশনে গুরুত্ব
পঠিত বিষয়গুলো প্রতিদিনই রিভিশন করতে হবে। নতুন পড়ার পাশাপাশি আগের দিনের পড়াগুলো ঝালিয়ে নেওয়াই হচ্ছে কার্যকর পড়াশোনার মূল কৌশল। এতে করে মনে রাখার সক্ষমতা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
বেসিক জ্ঞানের ওপর জোর
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো—বেসিক জ্ঞান। বিশেষ করে ইংরেজি বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলে অনেকখানি এগিয়ে থাকা যায়। বেসিক যত শক্তিশালী হবে, যেকোনো জটিল প্রশ্ন সহজে বোঝা এবং সমাধান করা ততই সহজ হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় জরুরি সিন্ডিকেটে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকা
পড়াশোনার সময় মোবাইল ফোন বা টেলিভিশনের মতো মনোযোগ বিচ্যুতকারী জিনিস থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে। নিজের পড়ার পরিবেশ সুনির্দিষ্ট ও মনোযোগবান্ধব করে তোলাই প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
বিরতি নিয়ে পড়ার কৌশল
টানা পড়াশোনা না করে নির্দিষ্ট সময় পরপর বিরতি নেওয়া উচিত। মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী, বিরতির পর রিভিশন দিলে তথ্য অনেক দীর্ঘস্থায়ীভাবে মস্তিষ্কে জমা হয়। তাই টানা না পড়ে, পরিকল্পিত বিরতিসহ পড়াশোনা করতে বলা হচ্ছে।
পর্যাপ্ত ঘুম ও স্বাস্থ্যকর খাবার
শরীর ভালো না থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা অসম্ভব। তাই পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত খাবার এবং মানসিক চাপ মুক্ত থাকার দিকেও শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু পড়াশোনাই নয়, মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও ভর্তিযুদ্ধে জয়লাভের অন্যতম শর্ত।
দৃঢ় মনোবল ও ধৈর্য্য
পড়তে গিয়ে কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে ঘাবড়ে না গিয়ে, অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মনোবল ধরে রেখে ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।
নিজস্ব কৌশলে পড়া তৈরি করা
ভোকাবুলারি বা তথ্যভিত্তিক বিষয়গুলো সহজে মনে রাখার জন্য ছন্দ তৈরি করে, নোট করে বা চার্ট আকারে পড়লে তা দীর্ঘ সময় মনে থাকে। প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা ও পুরনো পড়া ঝালিয়ে নেওয়াই সফলতার মূল চাবিকাঠি।