ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের নেতৃত্ব ফিরছে ‘নিয়মিত ছাত্রে’

যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলে ঠাঁই হবে ১০-১৫ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ করা নেতাদের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল © লোগো

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও সমমানের কমিটিতে অনিয়মিত ছাত্রদের পদায়নের বিষয়ে প্রায়ই আলোচনা-সমালোচনা করতে দেখা যায়। সমালোচকদের প্রশ্ন—ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে, বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিতে অছাত্ররা কীভাবে স্থান পায়? এমন আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে, বিশেষ করে ডাকসু ও অন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রত্ব আছে বা নিয়মিত ছাত্র এমন শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। যেটিকে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা। সেক্ষেত্রে ১০-১৫ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ করা ছাত্রনেতারা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে ঠাঁই পাবে—এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বর্তমানে দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আমেজ দেখা যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে বা ভোট প্রদান করতে ছাত্রত্ব থাকার শর্তকে আবশ্যক করা হয়েছে। যে কারণে ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিটি গঠনে বা ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্যানেল দিতে ছাত্রত্ব আছে, এমন নেতৃত্বকে বেছে নিচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে অন্যদের সঙ্গে তাল মেলাতে বা টেক্কা দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেতৃত্ব নির্বাচনে নতুন নীতি ও কর্মপদ্ধতির কথা ভাবতে হচ্ছে ছাত্রদলকে। কারণ, ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ অন্যান্য কয়েকটি সংগঠনের নেতৃত্ব পর্যায়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিতদের দেখা যায়। তাছাড়া, ছাত্রদল নেতাদেরকে ‘বয়স্ক’ বলে সম্বোধন করার প্রবণতা কমুক—এমনটা বিএনপির হাই কমান্ডও চাচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিটি গঠনে বা ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্যানেল দিতে ছাত্রত্ব আছে, এমন নেতৃত্বকে বেছে নিচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে অন্যদের সঙ্গে তাল মেলাতে বা টেক্কা দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেতৃত্ব নির্বাচনে নতুন নীতি ও কর্মপদ্ধতির কথা ভাবতে হচ্ছে ছাত্রদলকে। কারণ, ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ অন্যান্য কয়েকটি সংগঠনের নেতৃত্ব পর্যায়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিতদের দেখা যায়। তাছাড়া, ছাত্রদল নেতাদেরকে ‘বয়স্ক’ বলে সম্বোধন করার প্রবণতা কমুক—এমনটা বিএনপির হাই কমান্ডও চাচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্যানেলে অনেক সিনিয়র প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত, তুলনামূলক জুনিয়র ও পরিচিত শিক্ষার্থীদেরকে মনোনয়ন দিতে দেখা গেছে সংগঠনটিকে। জানা গেছে, প্যানেল মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে ছাত্রদল। সেখানে সিনিয়র নাকি জুনিয়রদের দিয়ে প্যানেল মনোনয়ন দেওয়া হবে তা নিয়ে হয় আলোচনা। যদিও ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র অনেক নেতৃত্ব মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে অন্যান্য প্যানেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তুলনামূলক জুনিয়রদের দিয়ে ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল দিতে দেখা গেছে।

সে অনুযায়ী ছাত্রদলের প্যানেলে এবার ভিপি হিসেবে লড়বেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান এবং জিএস পদে কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহবায়ক তানভীর বারী হামিম। এছাড়া, এজিএস পদে প্রার্থী করা হয়েছে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদকে।

তাদের মধ্যে আবিদ ২০১৫-১৬ সেশনের এবং হামিম ও মায়েদ ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। যদিও শীর্ষ এই তিন পদে নির্বাচনের লড়ার আগ্রহী আরও অনেক সিনিয়র নেতারা ছিলেন। এমনকি ঢাবি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেও এতে স্থান দেওয়া হয়নি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংগঠনের বৃহৎ স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাবিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও সংগঠনটি নতুনদের সামনে নিয়ে আসছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সারির এক নেতা জানান, ডাকসুতে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ভিপি প্রার্থী হিসেবে তুলনামূলক জুনিয়র আবিদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, অথচ তিনিও অনেক প্যানেলের ভিপি প্রার্থী থেকে সিনিয়র। বিষয়গুলো নিয়ে দলে অস্বস্তি রয়েছে। আর এসব কারণেই ‌‘মাদার সংগঠন’র হাইকমান্ড থেকে ছাত্রদলকে নিয়মিত ছাত্রের প্রতিষ্ঠানের রূপ দেওয়ার চিন্তা রয়েছে।

ডাকসু নির্বাচিত ভিপিদের প্রভাব-পরিচিতি যেকোনো জাতীয় নেতার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, বরং বেশি। সে ক্ষেত্রে ছাত্রদল মনোনীত কোনো প্রার্থী ডাকসুর ভিপি-জিএস হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি-সম্পাদক পদে থাকা সিনিয়র নেতারা তাদের (ভিপি-জিএস) সঙ্গে দলীয় প্রোগ্রামগুলোয় উপস্থিত হয়ে অস্বস্তিতে পড়বেন। বিষয়টি শুধু ডাকসুর ক্ষেত্রে নয়, জাকসু-জকসু-রাকসু-চাকসু-ইকসুসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মূলত এসব বিষয়কে সামনে রেখেই নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠনের চিন্তা করছে সংগঠনটি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক কোনো কর্মসূচির আয়োজন করা হলে এতে শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকেন। তারা সিনিয়র থাকা সত্ত্বেও জুনিয়র ডাকসু প্রার্থীরা মধ্যমনি হয়ে শেষের দিকে বক্তব্য দেন এবং সিনিয়ররা শুরুর দিকে বক্তব্য দেন, অন্য সময়ে যেটির উল্টোটা ঘটতো। সর্বশেষ আজ (২ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদল আয়োজিত গণধর্ষণ হুমকির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের বক্তব্যের ক্ষেত্রেই এই চিত্র দেখা গেছে, বলেই ওই নেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রদলের কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা বা পৌরসভা পর্যায়ে এবং ঢাকা, রাজশাহী, জগন্নাথ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক প্রতিষ্ঠানে সাংগঠনিক কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশই নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। অদূর ভবিষ্যতে এসব কমিটিতে পরিবেশ-পরিস্থিতি ও চাহিদা বিবেচনায় নিয়মিতদেরকে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা করছে ছাত্রদল। তবে জেলা, উপজেলা বা অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাত্রত্ব না থাকলেও ত্যাগী নেতারাসহ নিয়মিতদের মিশ্রণে কমিটি গঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চাহিদা বিবেচনায় আমরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে কমিটি করার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জবি ও রাবিসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে সিনিয়রদেরকে রাখা হয়েছিল। শিগগিরই এসব প্রতিষ্ঠানেও চাহিদা বিবেচনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করি।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসীবাদী আমলে সারাদেশে আমাদের সংগঠনের কমিটি সময়মতো গঠনে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসহ অন্যান্য স্থানে অনেকেই ত্যাগ ও পরিশ্রমের মূল্যায়ন পাননি। যার কারণে এসব কমিটিতে ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মী এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংমিশ্রণ থাকবে।

যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলে ঠাঁই হবে ১০-১৫ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ করা নেতাদের

সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে বয়স ও ছাত্রত্ব ইস্যুতে ছাত্র সংগঠনগুলোয় একটি ধারা চলে আসলেও গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তা আর ধোপে টিকছে না। এখানে অন্যান্য সংগঠনের হাইকমান্ড নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিগুলো ঢেলে সাজিয়েছে, সাজাচ্ছে; তেমনি নিয়মিত ছাত্রদের প্রাধান্য দিয়ে গড়ে উঠছে নতুন নতুন সংগঠনও। ছাত্রদলের মূল সংগঠন বিএনপি মূলত সেই চল বজায় রাখতেই নিয়মিতদের দিয়ে কমিটি গঠনের কথা ভাবছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ আট বছর পর চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত ওই কমিটিতে ৩৯ তম ব্যাচের (২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ) জহির উদ্দিন বাবর এবং এবং ৪০তম (২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ) ব্যাচের ওয়াসিম আহমেদ অনিককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। উভয়ের ৬-৭ বছর আগে নিয়মিত ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে।

আরও পড়ুন: একাদশে তৃতীয় ধাপে ভর্তি আবেদনের ফল প্রকাশ আজ

২০২৪ সালের ১ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী গণেশ চন্দ্র সাহসকে সভাপতি ও ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী নাহিদুজ্জামান শিপনকে সম্পাদক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে; যাদের নিয়মিত ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে তাদেরকে ভিপি-জিএস পদে মনোনয়ন দেওয়ার প্রাথমিক উদ্যোগ থাকলেও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, ২০২১ সালের ১৬ জুন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সাহেদ আহম্মেদকে আহ্বায়ক এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রুমী মিথুনকে সদস্য সচিব করে করে আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। সূত্রের তথ্য, বর্তমানে সভাপতি-সম্পাদক কারোই ছাত্রত্ব নেই, নিয়মিত পড়াশোনা শেষ হয়েছে অন্তত ৮-১০ বছর আগে। এর মধ্যে আহবায়কের সেশন ২০০৭-০৮; যার সেশনের বাকিরা ১৫-১৬ সালের দিকে ক্যাম্পাস ছেড়েছে। অন্যদিকে সদস্য সচিবের সেশন বের হয়েছে ১৭-১৮ সালের দিকে।

দীর্ঘ চার বছর পর সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নতুন কমিটি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কিন্তু সেখানেও সভাপতি হিসেবে ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী সুলতান আহমেদ রাহী এবং ২০১১-২০১২ সেশনের শিক্ষার্থী সর্দার জহুরুলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্থান পেয়েছে।

বিষয়গুলো নিয়ে মতামত জানতে কথা হয় রাজনীতি বিশ্লেষক, গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব দেবে ছাত্ররা, এ দাবিটা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনেক আগে থেকেই ছিল। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যা আরও জোরালো হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি অনুধাবন করে ছাত্রদলসহ অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়মিতদের থেকে করার ব্যাপারটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। শিক্ষার্থীদের দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের পদক্ষেপ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এবং এটা সুন্দর একটা চর্চায় পরিণত হবে বলে আশা করছি।