শিয়ালদহের হোস্টেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশি’ বলে রড-হকিস্টিক দিয়ে পিটুনি
- ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৫
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শিয়ালদহের কারমাইকেল হোস্টেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশি’ বলে মারধরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে মুচিপাড়া থানা এলাকায় শিয়ালদহ সেতুর নীচে কারমাইকেল হোস্টেলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
কয়েকজন দোকানির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। আহত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে তারা কয়েক জন একটি দোকানে মোবাইল ফোনের কভার কিনতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের কভার পছন্দ না হওয়ার কথা জানান। এরপরই বাংলায় কথা বলার জন্য কয়েক জন তাদের ‘বাংলাদেশি’ ও ‘রোহিঙ্গা’ বলে গালাগাল করেন। দেশ থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন।
শিক্ষার্থীদের আরও অভিযোগ, তাঁদের লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে মারধর করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করার জন্য হোস্টেলের আরও কয়েকজন গেলে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েক জনকে ছুরি দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করা হয় বলেও দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
কারমাইকেল হোস্টেলের আবাসিক ছাত্র তথা হাজরা ল কলেজের ছাত্র ইসমাইল শেখ বলেন, ‘আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন: গাজা সিটি দখলে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল
এ ঘটনায় বুধবার রাতেই মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীরা শিয়ালদহের কারমাইকেল হোস্টেলে থাকেন।
ক্যাম্পাসের বাইরে হলেও এ ঘটনায় পদক্ষেপ নিতে চাইছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিকেলে হোস্টেলের সুপারসহ ছাত্র প্রতিনিধিদের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে ডেকে পাঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সেখানে রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে বৈঠক হওয়ার কথা।
কেন পড়ুয়াদের মারধর করা হয়েছে, তা নিয়ে হোস্টেলের সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট নেবে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রয়োজনে পুলিশের কাছে পৃথকভাবে অভিযোগও জানাতে পারে কর্তৃপক্ষ। বৈঠকের পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। খবর: আনন্দবাজার।