‘নির্বাচনে দেশের মানুষ বিপুল ভোটে বিএনপিকে জয় লাভ করিয়ে ক্ষমতা বসাবে’

মৌন মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন জয়নাল আবেদিন
মৌন মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন জয়নাল আবেদিন © টিডিসি

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন বলেছেন, ‘নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিপুল ভোটে বিএনপিকে জয় লাভ করিয়ে ক্ষমতা বসাবে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, আপনারা তৈরি হয়ে যান। তাদের দেখিয়ে দেন আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। এর মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত হবে। কোনো রকম গুণ্ডামি-পাণ্ডামি দিয়ে নয়, কাজের মাধ্যমেই জনগণকে আমরা বাঁচিয়ে রাখব।’

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ফেনী শহরের প্রেসক্লাবের সামনে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত মৌন মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দেবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব হত্যাকাণ্ড চালাবে না। তাদের কাউকে অনুসরণ করে যদি বিএনপির কোনো নেতাকর্মী সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বা খুনখারাবি করে, তাহলে তাৎক্ষণিক দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ রয়েছে। কোনো গুণ্ডা-পাণ্ডা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করবে না।’

সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, ‘এ সরকারের কর্মকাণ্ডে মতলববাজ সরকার আখ্যা দেওয়া যায়। এমন হলে জনগণ আপনাদেরও ধরবে। যারা একসময় বিএনপির কাঁধে বর করেই রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে, তারা এখন বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এসব কোনোভাবে মেনে নেব না।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলালের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন আহমেদ মজুমদার, মশিউর রহমান বিপ্লব, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক এম এ খালেক, গাজী হাবিব উল্ল্যাহ মানিক ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।

আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যুতে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ দেশের রাজনীতিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য অনেকে কূটকৌশল অবলম্বন করছেন। স্বাধীনতার পর থেকেই বিএনপির সমর্থিত লোকেরা এই ধরনের অনেক ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছেন। অনেকে স্লোগান দেন হাসিনা গেছে যে পথে, তারেক যাবে সেই পথে। আমরাও বলব স্বৈরাচার গেছে দিল্লি, রাজাকার যাবে পিণ্ডি।’

পরে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি মৌন মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড, মডেল থানা, মিজান রোড, কলেজ রোড, জেল রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এ সময় জেলা বিএনপির আওতাধীন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।