খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
- ১৯ জুলাই ২০২৫, ২২:৪৪
খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা তিনটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোডে রাবি ও রুয়েটের ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় তারা ‘আছিয়া থেকে চিংমা খুন ধর্ষণ আর না’; ‘জুম্মু নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করো’; ‘উন্নয়ন ও পর্যটনের নামে ভূমি দখল বন্ধ চাই’; ‘অবিলম্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করো’; ‘আদিবাসী নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো’; ‘নারীর ওপর নিপীড়ন বন্ধ করো’; ‘রাষ্ট্রীয় হেফাজত বন্ধ কর’সহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন হাতে প্রতিবাদ জানায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিচারের দাবি জানিয়ে শামীন ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এর আগেও বারবার দেখেছি পাহাড়িদের ধর্ষণ ও হামলা হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখি না। এমনকি হামলার প্রতিবাদ করতে গেলেও আমরা আবার হামলার শিকার হই। আমরাও তো স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলাম, তারপরও আমাদের সঙ্গে এত বৈষম্য কেন? আমরা চিংমার ধর্ষণ ও খুনসহ সব ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: ৪৮তম বিসিএসে অংশ নিলেন ৪১ হাজার প্রার্থী
ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রিসার্চ চাকমা বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমরা যদি রুখে দাঁড়াই, পার্বত্য চট্টগ্রাম অচল হয়ে যাবে। গত তিন মাস আগেও আমরা এক ধর্ষণের বিচারের দাবিতে প্যারিস রোডে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিচার পাইনি। আমরা এ দেশে মিয়ানমার বা চীন থেকে উড়ে আসিনি। আমরা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি প্রশাসন ধর্ষকদের প্রশ্রয় দেয়।’
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই রথযাত্রা চলাকালীন ভাইবোনছড়ায় মেলায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে তার কাকার বাড়িতে রাত যাপন করেন। সেখানেই রাতের অন্ধকারে চারজন সেটেলার যুবক ওই বাড়িতে ঢুকে ‘অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক’ চলছে—এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে কাকার ছেলেকে বেঁধে রেখে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে জানান তারা।