স্লুইসগেট সচলে স্বস্তি ফিরেছে যশোরের ২০টি গ্রামে

সচল হয়েছে মনোহরপুরের স্লুইসগেট
সচল হয়েছে মনোহরপুরের স্লুইসগেট © টিডিসি ছবি

দীর্ঘ এক যুগ পর সচল হয়েছে যশোর সদর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের সরুইডাঙ্গা এলাকার কাটা খালের বিকল স্লুইসগেট। এতে করে অন্তত ২০টি গ্রামের জলাবদ্ধতা আংশিকভাবে কমেছে এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি।

স্থানীয়রা জানান, স্লুইসগেট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খালের পানিপ্রবাহ শুরু হয়, ফলে ধীরে ধীরে জমে থাকা পানি নামতে থাকে। একইসঙ্গে গ্রামের মানুষ নিজেরাই রাস্তা কেটে পানি খালের দিকে প্রবাহিত করার ব্যবস্থা করছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় স্লুইসগেটটি খুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সিরিয়ায় হামলা নিয়ে ইসরায়েলকে সংযমের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

স্লুইসগেট সচলে স্থানীয় এনজিও সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সংস্থাটির বারীনগর এলাকায় একটি প্রকল্প সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়ে। এ অবস্থায় তারা যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি অবহিত করলে জানা যায়, বোর্ডের পর্যাপ্ত জনবল নেই। তখন জাগরণী চক্রের ৭-৮ সদস্যের একটি দল নিজেরাই মেশিনপত্রসহ খালে নেমে কাজ শুরু করেন।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক একে এম মনিরুজ্জামান মামুন বলেন, ‘আমরা বৃষ্টিতে ভিজেই যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে সরাসরি মাঠে নেমে পড়ি।’ তার সঙ্গে কাজ করেছেন উপ-সহকারী পরিচালক মাহাদুদ হাসান কল্লোল, মৎস্য প্রকল্প ব্যবস্থাপক শওকত হোসেন এবং কর্মী এনামুল, রাহাত, কামাল, শাহাবাজ, লিয়াকত ও আলতাফ।

এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী জানান, কাটা খালের স্লুইসগেটটি দীর্ঘদিন পুরনো ও অচল হয়ে পড়েছিল। ইতোমধ্যে নতুন একটি গেট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সেটি স্থাপন করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে সহজেই গেট খোলা ও বন্ধ করা যায়।

স্লুইসগেট সচলের ফলে যশোরের মনোহরপুর ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ কিছুটা হলেও জলদুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।