জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে ইবি ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয় © টিডিসি

১৬ জুলাই স্মরণে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

এ সময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী। এ ছাড়া শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, সদস্য রাফিজ, নুর উদ্দিন, কর্মী তৌহিদ, স্বাক্ষর, রোকনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

কর্মসূচি শেষে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘আজকের এই দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পুলিশ বাহিনীর সামনে আমাদের ভাই আবু সাঈদ বুক পেতে দিয়েছিল। চট্টগ্রামে আমাদের ছাত্রদলের ভাই ওয়াসিম আকরার পুলিশের হাতে শহীদ হয়। আজকের এই দিনেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের সূত্রপাত হয়ে যায়। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজকের পরিবর্তিত বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের আমরা স্মরণে রাখতে চাই। অন্যান্য সংগঠনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, চিন্তার পার্থক্য থাকবে তার মানে এই না যে আমরা একে অপরের শত্রু। আমরা সবাই মিলে একসাথে বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’ 

আরও পড়ুন: কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব: উৎপাদনে গতি, একরে সাশ্রয় ৮ হাজার টাকা

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালে বিনাভোটে এবং রাতের ভোটে হাসিনা সরকার গঠন করেছিল। আল্লাহ মানুষকে একবার, দুবার সুযোগ দিলেও তৃতীয়বার সুযোগ দেয় না। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিস্ট সরকার চব্বিশের নির্বাচন এবং চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আমাদের ঐক্য যেন বিনষ্ট না হয় সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে। আমি অসুস্থদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন এবং আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘চব্বিশের অবিনাশী চেতনা কোনদিন বাংলার মাটি থেকে মুছে যাবে না তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। চব্বিশের জুলাইয়ে নেতৃত্বদানকারী যেসব নেতার ওপর আজকে গোপালগঞ্জে হামলা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। তারা বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকুক আমরা তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো ইনশাআল্লাহ। এ ছাড়া চব্বিশের চেতনা ধ্বংসকারী বা চব্বিশের চেতনা বিরোধীরা যে দলের বা যে মতের ই হোক না কেন, আমরা তাদের প্রতিহত করব। আমি আশা করি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’