ববির পরীক্ষায় নিম্নমানের উত্তরপত্র, ফাটা-ফুটো কাগজে লিখতে ঝক্কি

ববির পরীক্ষায় ব্যবহৃত ‘নিম্নমানের’ কাগজের উত্তরপত্র
ববির পরীক্ষায় ব্যবহৃত ‘নিম্নমানের’ কাগজের উত্তরপত্র © সম্পাদিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিম্নমানের ফাটা ও ফুটো কাগজের উত্তরপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ কাগজে লিখতে গিয়ে বিড়ম্বনা ও ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এক পৃষ্ঠার লেখা অপর পৃষ্ঠায় ভেসে ওঠা এবং কাগজে ছিদ্র থাকাসহ পাতলা কাগজে পরীক্ষা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। এ বিষয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক তৌফিক আলমকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তাও পাঠান। তিনি লিখেন, ‘স্যার, আমাদের পরীক্ষার পেপার এত নিম্নমানের কেন? ছাত্রজীবনে এমন খারাপ পেপারে কখনো লিখিনি। কার কাছে ঠিকাদারি নিয়ে চুক্তি করা হয়েছে? নমুনা দেখে কীভাবে এমন পেপার অনুমোদন করা হলো?’ 

জিটুজি’র মাধ্যমে বর্তমানের কাগজ সরবরাহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। সংশ্লিষ্টরা জিটুজির ওপর এর দায়ভার চাপিয়ে দেন। এ পদ্ধতিতে সরবরাহ করা কাগজে গুণগত মান নিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিটুজি’র মাধ্যমে বর্তমানের কাগজ সরবরাহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। সংশ্লিষ্টরা জিটুজির ওপর এর দায়ভার চাপিয়ে দেন। এ পদ্ধতিতে সরবরাহ করা কাগজে গুণগত মান নিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো.ফয়সাল বলেন, ‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাগুলো খুবই নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে আমরা লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের প্রতিবন্ধকতা শিকার হচ্ছি। সুন্দরভাবে লেখা যায় না। নিম্নমানের কাগজ হওয়া লেখা আঁকাবাঁকা হচ্ছে, যা অনেক সময় স্পষ্ট লেখা এঁকেবেঁকে যায়। আমাদের পরীক্ষার ফলাফলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

আরও পড়ুন: হাবিপ্রবির শূন্য ২৯ আসনে ভর্তিচ্ছুদের রিপোর্টিং আজ

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন অধিকারী বলেন, ‘আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার খাতা অনেক নিম্নমানের ছিল। ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে। খাতা অমসৃণ, খসখসে হওয়ায় লেখায় ব্যাঘাত ঘটে। খাতাগুলো খুব পাতলা ছিল। এগুলো দেখতেও অনেক খারাপ লাগে।’

এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি মাথায় নিয়েছি। এমন যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, আমরা তা নিয়ে আলাপও করব। আরও ভালো মানের কাগজ আনার জন্য কর্ণফুলী কাগজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলার চিন্তা রয়েছে।’