বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করতে হবে: রুয়েট উপাচার্য

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকরা
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকরা © টিডিসি

দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে জুলাই আন্দোলনের যে চেতনা ও উদ্দেশ্য তা ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১০ টায় উপাচার্য রুয়েটের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর জুলাই আন্দোলনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও ২৪ জুলাই গণহত্যা-বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে উপাচার্য জুলাই আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ আন্দোলনে আহত ও অংশগ্রহণকারীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। 

উপাচার্য বলেন, ‘আন্দোলন হলেই বিজয় আসে না। ফ্রান্স বিপ্লবের নেতা নেপোলিয়ান বোনাপাট বলেছিলেন, খারাপ মানুষদের জন্য পৃথিবীকে যতটা না ভুগতে হয়েছে তার চাইতে বেশি ভুগতে হয়েছে যারা অন্যায় দেখেও চুপ থেকেছে। খারাপ কোন শাসকগোষ্ঠী যখন কোন দেশের ওপর চেপে বসে, তারা যখন অন্যায় নিপীড়ন চালাতে থাকেন, তাদের কারণের চাইতে আমরা যাদের ভালো মানুষ বলে মনে করি তারা প্রতিবাদী না হয়ে ওঠার কারণে নিপীড়করা আরও বেয়াড়া হয়ে ওঠে।’

আরও পড়ুন: ইসির প্রাথমিক পরীক্ষায় ‘ফেল’ এনসিপি, পাসের জন্য সময় পেল ১৫ দিন

তিনি বলেন, ‘গত দেড় দশক ধরে আমরা দেখেছি, কথা বলতে না দেওয়ার সংস্কৃতি। কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরানো সম্ভব হচ্ছিল না কারণ, ছাত্র-জনতার যে ক্ষোভ তা সংগঠিত করা সম্ভব হচ্ছিল না। ক্ষোভগুলোকে সংগঠিত করার জন্য নেতৃত্বের যে দরকার ছিল, তার ঘাটতি ছিল। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের সেই ঘাটতি পূরণ হয়। তাদের বীরত্বের মাধ্যমেই আমরা অর্জন করেছি এই বিজয়। দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে জুলাই আন্দোলনের যে চেতনা ও উদ্দেশ্য ছিল তা ধারণ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ’ আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বশির আহমেদ, ফলিত বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কাদের জিলানী ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচ এম রাসেল সহ জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সব পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর ও শাখা প্রধানসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।