এসএসসির ফল প্রকাশ

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে শতভাগ পাস

শিক্ষকদের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা
শিক্ষকদের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা © টিডিসি

২০২৫ সালে জেলায় এসএসসি পরীক্ষা অভাবনীয় ফল করেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নন্দিত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে শতভাগ পাস করেছে। ২৮ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফল প্রকাশের পর শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় মোট ৫৬ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ বিজ্ঞান শাখার ২৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ৩ জন।

ভালো ফল করায় প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওনের পরামর্শে ও এলাকার সবার সার্বিক সহযোগিতায় আমরা এবারও ফলাফলে শতভাগ সফলতা ধরে রাখতে পেরেছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, ‘কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জন করায় আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তথা কেন্দুয়া উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি যেন তাদের এ সফলতা ধরে রাখতে পারে সেই আহবান জানাই।’

আরও পড়ুন: কুমিল্লা বোর্ডের একমাত্র যে স্কুল থেকে পাস করেনি কেউ

জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নে গ্রামীণ, প্রাকৃতিক, মনোরম, পরিবেশে  শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৬ সাল (মাধ্যমিক) থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়ে শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। ৩০ কাঠা জমির ওপর কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে নির্মিত স্কুলটি অত্যাধুনিক স্থাপত্য নকশায় সুরম্য ভবন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য নির্মিত অত্যাধুনিক শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অসামন্য গ্রন্থাগার; যার নাম শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ পাঠাগার। এতে রয়েছে ৪ হাজারের বেশি বই, মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ আলোকচিত্র, দলিলপত্র ও বই পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। সুপরিসর খেলার মাঠ, আধুনিক শিক্ষোপকরণ ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম।