শার্শার বাগআঁচড়া-কায়বা সড়ক যেন মরণফাঁদ, দুর্ভোগ চরমে
- ১১ জুলাই ২০২৫, ০০:৫৩
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া-কায়বা সড়কটি দীর্ঘদিনের অবহেলায় এখন মৃত্যুঝুঁকিপূর্ণ এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কজুড়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ। বর্ষায় গর্তে পানি জমে চলাচল আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ভাঙা রাস্তা ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন হাজারো মানুষ, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী ও রোগীবাহী যানবাহনের যাত্রীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে অব্যবস্থাপনার ফলে সড়কটির এমন ভয়াবহ দশা হয়েছে। বিশেষ করে মাটিবাহী ট্রাক ও ভারী যানবাহনের চলাচলের কারণে সড়ক দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলা, বর্ষায় কাদা—এই দুই পরিস্থিতিই দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবপাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪৩৫ মিটার আরসিসি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। কাজ শুরু হলে ধাপে ধাপে পুরো সড়কের উন্নয়ন করা হবে।
এ সড়ক ঘেঁষে রয়েছে অন্তত ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ৫টি বাজার। ভাঙা রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কায়বা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল কাদের বলেন, অনেক ছাত্রছাত্রী সময়মতো ক্লাসে পৌঁছাতে পারে না। অনেকেই পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: এসএসসির ফলের পরই কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া: যেসব বিষয় জেনে রাখা ভালো
বাগআঁচড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আবু হুরায়রা বলেন, প্রতিদিন ভাঙা রাস্তা ধরে যাওয়া আসা করতে কষ্ট হয়, ক্লাসে মনোযোগ নষ্ট হয়।
এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ বলেন, ভাঙা সড়কে পণ্য পরিবহন কষ্টসাধ্য, ফলে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।
একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই রাস্তা এখন জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে। আমি নিজেও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি।’
চালক ও ইজিবাইকচালকদের ভাষ্যমতে, প্রতিদিন গর্তে পড়ে গাড়ি নষ্ট হচ্ছে, যা আয় হয় তা দিয়ে সারানোই দায়।
স্থানীয় জনগণ বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে এলাকার জীবনযাত্রা, শিক্ষা, ব্যবসা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সবই ভেঙে পড়বে।