শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেরি, শিক্ষকের থাপ্পড়ে নাক ফাটল শিক্ষার্থীর
- ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৫:১৫
পাবনার চাটমোহরে শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেরি করায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারেন সহকারী শিক্ষক। এতে শিশুটির নাক ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। আহত অবস্থায় তাকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর স্কুল থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।
বুধবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম সোয়াদ হোসেন। সে ওই গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন হাফিজুর রহমানের অনুমতি নিয়ে বাইরে যায় সোয়াদ। আসতে দেরি হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাকে থাপ্পড় দেন হাফিজুর। এ সময় নাকে লেগে রক্তাক্ত জখম হয় সোয়াদ। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে রক্ত বন্ধ না হলে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্লাস শুরু
শিশুটির বাবা মুকুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শিক্ষক শাসন করবে তাতে আমার আপত্তি নেই। লেখাপড়ার জন্য যদি মারত তাহলে আমার কোনো অভিযোগ থাকত না। মারারও তো ধরন আছে। এভাবে রক্তাক্ত জখম করবে আমি বাবা হিসেবে এটা মেনে নিতে পারছি না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি ওই সময় অফিসে রুমে ছিলাম। ঘটনা শোনার পর ক্লাসে গিয়ে শুনি সোয়াদ বাড়ি চলে গেছে। পরে তাকে বাড়িতে গিয়ে দেখে এসেছি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
অভিযুক্ত শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে জাকির হোনের বলেন, ‘আমার কাছে মৌখিক ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ক্লাস চলাকালীন বারবার বাইরে যাচ্ছিল আর আসছিল। পরে কয়েকবার ডেকেছি। পরে ক্লাসে ঢোকার সময় একটা চড় মারতে গিয়ে বাচ্চাটার নাকে লেগে রক্ত বের হয়। এটা একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। তবে এ ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলির আন্দোলন স্থগিত
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’