এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তির মাত্রা কমেছে: ইসি সচিব

ইসি সচিব আখতার আহমেদ
ইসি সচিব আখতার আহমেদ © টিডিসি ফটো

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে ভোগান্তীর মাত্রা কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তির মাত্রা কমেছে। আগামী তিন মাসে এটা আরও কমে আসবে। এনআইডি নিয়ে মানুষের হয়রানি থাকবে না।

আজ বুধবার (২ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনে এনআইডি সংশোধনের ক্র্যাশ প্রোগ্রামের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ইসি সচিব বলেন, মাঠ পর্যায়ে নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা কাজটা করেছি। এনআইডি সংশোধেন নিয়ে যে হয়রানি সেটা আর থাকবে না। বর্তমানে ৭৬ হাজার ৬৯৪টি এনআইডি আবেদন এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে।

সচিব আরও বলেন, আমারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নানা বিষয়ে কাজ করি। নিজের নাম, বাবা মায়ের নাম, ঠিকানা ও বয়স ইত্যাদি সংশোধন করা হয়। কমিশন সিদ্ধান্তে এসেছে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন জিরে লেভেলে আনা যায় কি না। তবে এটা জিরো লেভেল সম্ভব না। তবে কাজটি সন্তুষ্টির পর্যায়ে আনতে চাই। এক হিসেবে কোন পেন্ডিং আবেদন নেই বলা চলে।

কারণ হিসেবে আখতার আহমেদ বলেন, বিগত ৬ মাসে গড়ে প্রতি মাসে ১ লাখ ৯২০টি আবেদন জমা পড়েছে। তবে এটা বর্তমানে কমে ৮০ হাজার হয়েছে। আমরা বিগত সাত মাসে কোনওভাবেই অনিষ্পন্নের সংখ্যা তিন লাখের নিচে নামাতে পারছিলাম না। ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

আরও পড়ুন: এনআইডি সংশোধনের ক্র্যাশ প্রোগ্রামে ছয় মাসে ৯ লাখ আবেদন নিষ্পত্তি

মাঠ পর্যায়ে অনিয়ম প্রসঙ্গে সচিব বলেন, মাঠ পর্যায়ে ভোগান্তির বিষয়টি বলার আগে বলতে চাই। মাঠ পর্যায় থেকে অনেকে আমাকে তথ্য পাঠাচ্ছেন। হয়রানির তথ্য আমাদের কাছে আসছে। ঘটনা সত্য হলে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। এক লাখের উপরের আবেদন এখন ৮০ হাজার। ছয় মাসে ২০ হাজার কমেছে। এটা জিরো হবে না, তবে সন্তুোষজনক পর্যায়ে আসবে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, এনআইডি পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, এনআইডি পরিচালক (পরিচালনা) মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।