জকসু নির্বাচন রোডম্যাপ ঘোষণাসহ ৩ দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের
- ০১ জুলাই ২০২৫, ১১:১২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন, ক্যাফেটেরিয়ার মানোন্নয়ন ও ফুড কার্ড চালুর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আজ রবিবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবিগুলো জানান ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে গণতান্ত্রিক চর্চা ও শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক ও নিয়মিত ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন। যদিও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে কিংবা রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতির ও সদিচ্ছাশূন্য বলে দাবি করেন তারা।
তারা বলেন, প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব না থাকা অগণতান্ত্রিক এবং মতপ্রকাশ ও নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার হরণের শামিল। তাই তারা প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার জোর দাবি জানান।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত দুরবস্থার কথাও তুলে ধরা হয়। তারা জানান, এত বড় শিক্ষার্থী সমাগমের মধ্যে ক্যাম্পাসজুড়ে রয়েছে মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া। যেখানে পর্যাপ্ত পানির ফিল্টার নেই, শিক্ষার্থীদের বসার স্থান নেই এবং খাবারের মান নিয়েও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন আগে প্রশাসন ‘ফুড কার্ড’ চালুর ঘোষণা দিলেও তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি, বরং এই উদ্যোগটি এখন কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দৃশ্যমান কোনো প্রশাসনিক পদক্ষেপও চোখে পড়ছে না।
ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব অব্যবস্থাপনা শুধু অদক্ষতার চিত্রই নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা ও অধিকার উপেক্ষার পরিচায়ক।
তারা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো দ্রুত সময়সীমা নির্ধারণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিবেশ ও সেবার মানোন্নয়ন করে শিক্ষার্থীবান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে ঘোষিত ‘ফুড কার্ড’ কার্যক্রম দ্রুত চালু করতে হবে এবং এর বাস্তবায়নে প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণ করা।
শেষে তারা স্পষ্টভাবে বলেন, উপরিউক্ত দাবিগুলো শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট। এসব দাবির প্রতি প্রশাসন যদি অবিলম্বে ইতিবাচক সাড়া না দেয়, তবে তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে এবং এর সব দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।