ইরানের হাতে মোসাদের ৬ গুপ্তচর গ্রেপ্তার

মোসাদের ছয় গুপ্তচরকেগ্রেপ্তার করেছে ইরান
মোসাদের ছয় গুপ্তচরকেগ্রেপ্তার করেছে ইরান © সংগৃহীত

ইরানের রাজান, নাহাভান্দ ও হামাদান শহরে মোসাদের ছয়জন গুপ্তচরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ইরানে মোসাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।

ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ছয়জন গুপ্তচরে বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শাসক গোষ্ঠীর এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সাইবারস্পেসকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। এ ছাড়া জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করা এবং ইরানের ভাবমূর্তি নষ্ট করারও চেষ্টা করেছিল।

তবে ইরানের বাহিনী সঠিক ও সময়োপযোগী বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাদের কর্মকাণ্ড ব্যর্থ করে দেয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করে।

এর আগে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরান। মোহাম্মদ আমিন মাহদাভি শায়েস্তেহ নামে ওই বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

আরও পড়ুন : ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ৯ জন নিহত, আহত ৩০

ইরানের আরেক আধা সরকারি সংবাদ  সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, শায়েস্তেহকে ২০২৩ সালের শেষের দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে ‘মোসাদের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সাইবার-টিমের প্রধান’ ছিলেন। ইসরায়েলকে ‘গোয়েন্দা সহযোগিতা’ দেওয়ার অভিযোগে ইরান তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরানের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার সূচনা আকাশপথ ধরে নয়, এর শুরুটা হয়েছিল স্থলপথ ধরে, হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তত সেরকমই ইঙ্গিত করছে।

এই হামলার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইসরায়েল। প্রস্তুতির ভিত্তি ছিল গভীর গোয়েন্দা তথ্য ও ইরানে অপারেশনাল অনুপ্রবেশ।

ইরানের কর্মকর্তারা সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীতে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশের বিষয়ে অবশ্য আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

তবে এই পুরো ঘটনায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ভূমিকা কতটা ছিল, তা অনুমান করা সহজ নয়। তাছাড়া ইসরায়েল সাধারণত মোসাদের কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করে না।