সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল থেকে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাইজুর রহমান ফাহিমকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাইজুর রহমান ফাহিমকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ © সংগৃহীত

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ (এসএইচএসএমসি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাইজুর রহমান ফাহিমকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আদালতে প্রেরণ করেছে শের-ই-বাংলা নগর থানা পুলিশ। আজ বুধবার (৪ জুন) নিষিদ্ধ সংগঠনে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এদিন দুপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাইয়ুম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, আটক শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য। গতকাল শিক্ষার্থীরা ফাহিমকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করে। এরপর সেনাবাহিনী তাকে শেরেবাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে আজ তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে এসএইচ-১১ ব্যাচের মেডিসিনের পরীক্ষা দিতে এলে ফাইজুর ফাহিমকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থীরা জানান, ফাইজুর ফাহিম ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ দিহান পরীক্ষা দিতে আসবে এমন সংবাদে এদিন সকাল থেকেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ফাইজুর ফাহিম ১০ জনের অধিক শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হল থেকে বের করেছে। এ ছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও প্রত্যক্ষভাবে নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ফাহিম কলেজে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে পূর্বের কিছু অভিযোগ থাকায় একাধিক শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ ছিলেন। ফলে তিনি উপস্থিত হলে উত্তেজনা তৈরি হয় এবং পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ পর্বের ফল প্রকাশ

অধ্যাপক জাকিউল আলম বলেন, ঘটনাটি সেনাবাহিনীর নজরে আসে। পরে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে শিক্ষার্থীটিকে তাদের হেফাজতে দেওয়ার জন্য। আমরা তাদের অনুরোধে ফাহিমকে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করি। পরে তারা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

তিনি আরও জানান, আজ একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়রা বিনতে আসাদের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, কমিটি তাদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে।