ওয়েবসাইট বন্ধ দীর্ঘদিন, ডিজিটাল যুগে তথ্যবঞ্চিত বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা
- ০২ জুন ২০২৫, ১৬:৩৫
তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বিশ্বে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক জীবন পরিচালনার অন্যতম প্রধান সহায়ক প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। অথচ সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কলেজটির ওয়েবসাইট দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর থাকায় শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অ্যাকাডেমিক তথ্য জানার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে অ-আনুষ্ঠানিক মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর, যা বিভ্রান্তি ও তথ্যগত ভুলের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কেবল তথ্যের ভান্ডার নয়, বরং প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও প্রযুক্তি-সক্ষমতার প্রতীক। সেই প্রতীকে দীর্ঘদিন ধরে ধুলো জমে থাকা মানে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ওয়েবসাইট অবিলম্বে চালু করতে হবে এবং নিয়মিত হালনাগাদ নিশ্চিত করতে হবে। তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করা হোক, যেন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন শুধু কথায় না থেকে বাস্তবে পরিণত হয়।
শিক্ষার্থী শাওন আহমেদ সৈকত বলেন, ‘যখন দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও অনলাইন শিক্ষা-সেবা সহজলভ্য, তখন রাজধানীর একটি সরকারি কলেজে বছরের পর বছর ওয়েবসাইট বন্ধ থাকা মানে এক ধরনের অবহেলা ও অবিচার। এটা শুধু লজ্জাজনকই নয়, শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য তথ্য-সেবা থেকে বঞ্চিত করা।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজটির আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্লাস রুটিন, পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল কিংবা জরুরি নোটিশ—সবকিছু জানার জন্য ওয়েবসাইটই ছিল আমাদের প্রধান ভরসা। এখন বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে খুঁজতে হয়, কিন্তু সব সময় নিশ্চিত হতে পারি না তথ্যটা সঠিক কি না।’
আরও পড়ুন: ঈদে বন্ধই থাকছে রাবির হল, ছাত্রদল-শিবিরসহ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
এ পরিস্থিতিতে শুধু তথ্যের সংকটই নয়, এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগও করেছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, যে প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরি করছে, সেই প্রতিষ্ঠান কীভাবে এমন একটি মৌলিক দায়িত্বে এত উদাসীন থাকতে পারে?
এ বিষয়ে শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও ওয়েবসাইট তত্ত্বাবধায়ক নাহিদা পারভিন বলেন, ‘ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল একটি সফটওয়্যার কোম্পানির কাছে। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটি বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যেই ওয়েবসাইটটি সচল হবে।’