সাম্যের চরিত্র নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চলছে: নাছির
- ২৩ মে ২০২৫, ১১:২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের চরিত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) শাহবাগ ও ইন্টাকন্টিনালে সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, সরকার যেমন অকেজো অবস্থায় রয়েছে, প্রশাসনকেও সেরকম দেখেছি। যেভাবে সিসি ক্যামেরাগুলো অকেজো হয়ে থাকে। শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি তা কয়েক মিনিটের মধ্যে যমুনা অভিমুখে চলে যাবে। সাম্য হত্যাকাণ্ডটি সরকারকে অত্যন্ত শক্তভাবে দেখা উচিত। প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা এখনো কোনো আন্তরিকতা দেখছি না। সাম্য হত্যাকাণ্ডের মোটিভকে (উদ্দেশ্য) ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুপ্ত সংগঠন বক্তব্য দিচ্ছে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে ঠিক ১২টার আগে, গণমাধ্যমে সে তথ্য উঠে এসেছে। সুতরাং এটি একটি গুপ্ত সংগঠন, যে সংগঠন গত ১৫ বছর খুনি শেখ হাসিনার ও ছাত্রলীগের সঙ্গে মিশে রাজনীতি করেছে। তারা সাম্য হত্যাকাণ্ডের মোটিভকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছে। আমরা এটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি।
আরও পড়ুন: টানা সাত ঘণ্টা পর শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদল
তিনি বলেন, ছাত্রশিবির সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর তারা যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, আমরা ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখান করছি। কারণ তারা একদিকে বিবৃতি দিয়েছে, অন্যদিকে সাম্যের চারিত্রিক বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তারা প্রপাগান্ডা করছে। তাদের নেতাকর্মীরা নেগেটিভ ন্যারেটিভ তৈরি করছে, বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করছে তারা। এটি খুবই দুঃখজনক বলে মনে করছি।
তিনি আরও বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শুনছি যে, সিসিক্যামেরাগুলো অকেজো রয়েছে। একটি সিসিক্যামেরার ফুটেজ সরকার জনসম্মুখে আনতে পারেনি এবং তদন্তের জন্য একটি ফুটেজও পায়নি বলে আমরা শুনেছি। এখনো পর্যন্ত যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা কেউ প্রকৃত আসামি নয়। এটি সাম্যের সহপাঠী, শিক্ষার্থী এবং আমরাও মনে করছি। সুতরাং কেন সাম্য হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলো?। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা রিমান্ডে কোনো বক্তব্য দিয়েছেন কিনা, এরকম কোনো বক্তব্য আমরা শুনতে পাইনি।
প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার ও ছাত্রদলের ৩ দফা দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা একমত হয়েছি জানিয়ে নাছির বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু সাম্য ছাত্রদলের কর্মী হওয়ার কারণে সরকার যদি প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে গড়িমসি করে, তাহলে শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনালের এ অবস্থান কর্মসূচি, তা কয়েকমিনিটের মধ্যে যমুনা অভিমুখে চলে যাবে। সুতরাং ঢাবি প্রক্টর ও ভিসির বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য থাকা উচিত। আমাদের দাবি মানা না হলে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা বা অবস্থান কর্মসূচির ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।