শেনজেনভুক্ত দেশে ভিসা প্রত্যাখ্যানে বাংলাদেশ শীর্ষ তিনে

ইউরোপের শেনজেনভুক্ত দেশ
ইউরোপের শেনজেনভুক্ত দেশ © সংগৃহীত

শেনজেনভুক্ত দেশগুলোয় ২০২৪ সালে যেসব দেশের ভিসা আবেদন সবচেয়ে বেশি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ তিনে। সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ কমোরোসের নাগরিকদের। এরপর যথাক্রমে রয়েছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা।

গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে শেনজেন নিউজ।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কমোরোসের ১ হাজার ৭৫৪ নাগরিকের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। দেশটি থেকে ২ হাজার ৮৫৩ নাগরিক ভিসার আবেদন করেছিলেন; যা মোট আবেদনের ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ।

আরও পড়ুন : স্টারলিংকের ইন্টারনেট নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে শেনজেন ভিসার আবেদন করা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৩৪৫টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৯৫৭টি আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়; যা মোট আবেদনের ৫৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।

আর পাকিস্তানিদের ৭৮ হাজার ৩৬২ নাগরিক ভিসার আবেদন করেন। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ১৩৯টি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল; যা মোট আবেদনের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

শেনজেন নিউজ জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ৪১ হাজার ৩১৭ জন বাংলাদেশি ভিসার আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে ১৭ হাজার ১৫টি প্রত্যাখ্যান করা হয়। ওই বছর প্রত্যাখ্যানের হার ছিল ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ। আবেদন প্রত্যাখ্যান করার বিষয়টি ২০২৩ সালের তুলনায় ইতিবাচক না হয়ে ২০১৪ সালে আরও নেতিবাচক হয়েছে। যদিও ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি ছিল।

আরও পড়ুন : ইউজিসির সামনে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অনশন শুরু

গত বছর সুইডেন বাংলাদেশিদের ভিসা সবচেয়ে বেশি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। অন্যদিকে পাকিস্তানিদের ভিসা সবচেয়ে বেশি প্রত্যাখ্যান করেছে অস্ট্রিয়া। আর কমোরোসের নাগরিকদের ভিসা সর্বোচ্চ প্রত্যাখ্যান করেছে ফ্রান্স।

বর্তমানে ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ মোট ২৯টি। শেনজেন হলো ইউরোপের এসব দেশের জোট। সর্বশেষ রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া সেনজেন দেশের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

সেনজেন দেশের নাগরিকরা মুক্তভাবে সেনজেন ভুক্ত যে কোন দেশে ভ্রমণ, কাজ, বাণিজ্য এবং বসবাস করতে পারে। তবে সেনজেন ভিসাধারীরা সেনজেন ভুক্ত দেশে ভিসা কিংবা পাসপোর্ট ছাড়াই ৯০ দিন অবস্থান করতে পারে।