৭ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থী বিমা দাবি নিষ্পত্তির নির্দেশনা ঢাবি প্রশাসনের
- ২১ মে ২০২৫, ০৭:২১
সাত দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমা নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিমা দাবির টাকা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রেরণের জন্য বিমা কোম্পানিকে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিমা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অফিস থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি ইতোমধ্যেই সকল হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো—
১. প্রতিটি হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউটের নোটিশ বোর্ডে দৃশ্যমানভাবে স্বাস্থ্যবিমা সম্পর্কিত নির্দেশনাবলি প্রচার করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি ইতোমধ্যে আপলোড করা হয়েছে।
২. স্বাস্থ্যবিমা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিটি বিভাগ/ইনস্টিটিউটে একজন ছাত্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। ছাত্র উপদেষ্টা যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে অবগত করবেন।
৩. ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্যেক বিভাগ/ইনস্টিটিউটের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি উপস্থাপন করা হবে।
৪. আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রতি বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কর্মশালার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিমা সংক্রান্ত ধারণা প্রদান করা হবে।
৫. বিমা সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে, হিসাব দপ্তরের বিমা শাখায় ছাত্র উপদেষ্টার সুপারিশসহ লিখিত অভিযোগ পেশ করার জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
৬. সকল বিভাগ/ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটেও বিমা সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা আপলোড করা হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর বার্তা দিল ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাত দিনের মধ্যে বিমা দাবি নিষ্পত্তি এবং বিমা দাবির টাকা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রেরণের জন্য বিমা কোম্পানিকে নির্দেশনা প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিমার আওতাভুক্ত। তবে বিমা দাবি আদায়ের প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। এ জটিলতা নিরসনেই এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করে।