ইবি ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ফরম বিতরণ করে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ফরম বিতরণ করে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন © টিডিসি

দীর্ঘ ২২ বছর পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ফরম বিতরণ করে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ। এর আগে, ইবিতে ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বশেষ সদস্য নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। 

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নবীন সদস্য সংগ্রহে সদস্য ফর্ম বিতরণ ও “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর আগে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীর। 

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন ও ইবির জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. জাকির হুসাইন, ইউট্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. গফুর গাজী এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

আরও পড়ুন: প্রেসক্লাবে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি শিক্ষক-কর্মচারীদের

সভায় অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ছাত্রদলের সামনে সুবর্ণ সুযোগ এসেছে তাদের পারফরম্যান্স শো করার। এই ছাত্রদলেরই আমরা আগস্টে হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মেইন গেটের রাজপথে দাঁড়িয়েছিলাম। দেশের আলোচনা আপনারা মাঠে-ময়দানে শোনেন তার চেয়েও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জানার আরো অনেক কিছু আছে। বর্তমান সময়ের বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র আমরা প্রত্যক্ষ করছি, যা প্রতিহত করতে পারে একমাত্র আমাদের তরুণ সমাজ, ছাত্রসমাজ ও ছাত্রদল। 

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি জহির রায়হান বলেন, আমরা যখন এখানে আলোচনা করছি তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্মী শাহানুরের উপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে। কিছুদিন আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে, পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই বাংলাদেশের জন্য ১৭ বছর লড়াই সংগ্রাম করিনি। যারা সুপরিকল্পিত ভাবে এসব করছেন তাদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ছাত্রদল সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে টিকে থাকা সংগঠনের নাম। 

জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, একটি দল আছে যারা ছাত্রদলের নেতারা খুন হলে উল্লাসে মেতে ওঠে, বিভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। ইসলামী মূল্যবোধকে ধারণ করে এমন কোন সংগঠন থাকলে সেটা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ৫ তারিখে শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে আমরা অনেক মাস্টারমাইন্ডকেও আমরা দেখতে পেতাম না যারা এখন অনেক বড় বড় মাস্টারমাইন্ড বনে গেছেন। বিগত ১৭ বছরে ছাত্রদল রাজপথে থাকলেও একটি কর্মী ভাড়া করে আনতে হয়নি, অথচ আপনারা বলে বেড়ান ছাত্রদল নাকি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছে। 

আরও পড়ুন: বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে গেজেটভুক্ত হলেন ১৬২ প্রার্থী

নতুন ধারার রাজনীতির ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হল দখলদারিত্বের যে রাজনীতি করেছে, সেই ধারায় কিন্তু ছাত্রদল যায়নি। নতুন ধারার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মেধাভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা বাইক শোডাউনে যাইনি, দখলদারিত্বেও যাইনি। আমরা আমাদের বোনদের প্রায়োরিটি দিচ্ছি যাতে তারাও আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ বিনির্মাণে কাজ করতে পারে৷

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোমিনুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, ওমর ফারুক, রোকন উদ্দিন, সালাহউদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।