অপহরণের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী
- ১৮ মে ২০২৫, ১৮:০৬
নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান অপহরণের ৩ মাস ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
মেয়েটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আইনের আওতায় আনতে সাবেক সেনা সদস্য আমজাদ হোসেন সুধারাম মডেল থানায় বখাটে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে নাহিদ, রায়হান ও দুলালসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং -৫৯/২৫।
কিন্তু ৩ মাস ১০দিন পেরিয়ে গেলেও কিশোরী মেয়েটি উদ্ধার হয়নি এবং ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বখাটেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে অভিযোগ বাদীর।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের আইয়ুবপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আমজাদ হোসেনের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা হতে অপহরণ করা হয়। রাজারামপুর গ্রামের নুরুল হক দুলালের বখাটে ছেলে সাজ্জাদ হোসেন নাহিদ ও একই গ্রামের পারুলের ছেলে রায়হানসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ চক্র নাহিদের পিতা নুরুল হক দুলাল ও তার স্ত্রীর সহায়তায় স্কুল পড়ুয়া কিশোরীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ডিবিতে যাচ্ছে ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা মামলা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আমজাদ হোসেন ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সুধারাম মডেল থানায় অপহরণ মামলা করলেও পুলিশ কিশোরী মেয়েটি উদ্ধার করতে পারেনি।
জানা যায়, এ ছাড়াও বখাটেরাও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় জনমনে বিরূপ মনোভাব দেখা দিয়েছে। মামলা দায়ের করায়, অজ্ঞাত ব্যক্তির মাধ্যমে ভুয়া বয়স দেখিয়ে অ্যাডভোকেট শহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত কোর্ট ম্যারেজের একটি অ্যাফিডেভিট কপি বাদী আমজাদ হোসেনকে পাঠানো হয়।
ভুয়া বয়স দেখিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট শহীদ হোসেন বলেন, ‘আইনজীবীর সহকারীর লেখার ওপর বিশ্বাস করে অ্যাফিডেভিটে স্বাক্ষর করি। মেয়েটির অনলাইন ভেরিফাইড জন্ম সনদ না দেখাটা আমার অজান্তে ভুল হয়েছে। মূলত অ্যাফিডেভিটে ম্যারেজের কোন আইনি ভিত্তি নেই।’
সুধারাম মডেল থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ‘আসামি নাহিদসহ তার পরিবার পলাতক। পুলিশ মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মেয়ে তার বোনের সাথে যোগাযোগ রাখছে।’