এসএসসিতে শেষ দিন অনুপস্থিত ৩০ হাজার ৫৫ পরীক্ষার্থী, কোন তারিখে কতজন?

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা © সংগৃহীত

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা গত ১০ এপ্রিল শুরু হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। গতবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

সারা দেশে এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার ছাত্রী ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন এবং ছাত্র ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন পরীক্ষার্থী ছিল। তবে ফরম পূরণ করলেও প্রথম দিন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ২৬ হাজার ৯২৮ জন শিক্ষার্থী। শেষ দিন মঙ্গলবার অনুপস্থিত ছিল ৩০ হাজার ৫৫ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের এসএসসিতে অনুপস্থিতির সংখ্যাটা গত কয়েক বছরের চেয়ে বেশি। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে বলেও জানান তারা।

পরীক্ষায় অনুপস্থিতির সংখ্যা
মঙ্গলবার (১৩ মে) বাংলা দ্বিতীয় পত্র লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয় এবারের এসএসসি পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৬, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৮৩৭, অনুপস্থিত ছিল ১৬ হাজার ৩৫৯, অনুপস্থিতির হার ১.২২।

এদিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার ১১০ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৩ জন, অনুপস্থিত ১১ হাজার ৬৪৭ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.৫১। কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৫, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৩০ হাজার ২৩৬ জন, অনুপস্থিত ৩ হাজার ৪৯ জন, অনুপস্থিতির হার ২.২৯।

৮ মে
সারা দেশে ৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৭, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৩১৪, অনুপস্থিত ছিল ৩ হাজার ৪৭৩, অনুপস্থিতির হার ০.৬৫।

এদিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৪২৬ জন, অংশ নিয়েছিল ৩১ হাজার ৬৯৩ জন, অনুপস্থিত ৭৩৩ জন, অনুপস্থিতির হার ২.২৬। কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৬১৪, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৩ জন, অনুপস্থিত ২ হাজার ৮৯১, অনুপস্থিতির হার ২.৪২।

৭ মে
৯টি সাধারণ বোর্ডে সেদিন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩২ হাজার ১১৯ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৬১০ জন, অনুপস্থিত ছিল ২ হাজার ৫০৯ জন, অনুপস্থিতির হার ১.০৮।

এদিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৩৮ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ১৫৭, অনুপস্থিত ১০ হাজার ৪৫১, অনুপস্থিতির হার ৪.৬০। তবে এদিন কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষা ছিল না।

আরও পড়ুন : ৫ মাস আগে উদ্যানের গেট বন্ধ করতে চেয়েছিল ঢাবি প্রশাসন, বিরোধিতায় হয়নি বাস্তবায়ন

৬ মে
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ২৫৮, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩৫৪ জন, অনুপস্থিত ছিল ৫ হাজার ৯০৪, অনুপস্থিতির হার ০.৮৭।

এদিন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ১৮৬ জন, অংশ নিয়েছে ৩২ হাজার ৪০৩, অনুপস্থিত ৭৮৩ জন। অনুপস্থিতির হার ২.৩৬। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ২৯ হাজার ১২৬ জন, অংশ নিয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৭১। অনুপস্থিত ৩ হাজার ২৫৫ জন। অনুপস্থিতির হার ২.৫২।

৪ মে
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৫১৯ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩ জন, অনুপস্থিত ১৪ হাজার ৪৮৬, অনুপস্থিতির হার ১.২৫।

এদিন মাদ্রাসা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৪১, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯১, অনুপস্থিত ১১ হাজার ২৫০ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.৩৫। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪২ জন, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৯, অনুপস্থিত ২ হাজার ৯৭৩ জন, অনুপস্থিতির হার ২.৩৫।

৩০ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৭৬ হাজার ০৭৯ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭১১ জন, অনুপস্থিত ১০ হাজার ৩৬৮ জন, অনুপস্থিতির হার ১.৮০।

এদিন মাদ্রাসা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪২৮ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৩২ হাজার ৭২৯ জন, অনুপস্থিত ১০ হাজার ৬৯৯, অনুপস্থিতির হার ৪.৪০। কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা ছিল না।

২৯ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১১ লাখ ৮৮ হাজার ২১৪ জন, অনুপস্থিত ১৩ হাজার ৫৬২ জন, অনুপস্থিতর হার ১.১৩।

এদিন মাদ্রাসা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার ১০৫ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৩ জন, অনুপস্থিত ছিল ১১ হাজার ২৬২ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.৩৬। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৪ জন, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ জন, অনুপস্থিত ৩ হাজার ৫৬ জন, অনুপস্থিতির হার ২.৩০।

২৭ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ২৮৭ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৯ জন, অনুপস্থিত ছিল ১৫ হাজার ৩৮৮ জন, অনুপস্থিতর হার ১.১৬।

এদিন মাদ্রাসা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার ১২৯ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৭ জন, অনুপস্থিত ছিল ১১ হাজার ১৯২ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.৩৪। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৭০ জন, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৯, অনুপস্থিত ছিল ২ হাজার ৯৮১, অনুপস্থিতির হার ২.২৬।

২৪ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৬৯ হাজার ১৬ জন, অংশ নিয়েছিল ৯ লাখ ৫৬ হাজার ২২২ জন, অনুপস্থিত ছিল ১২ হাজার ৭৯৪ জন, অনুপস্থিতির হার ১.৩২।

এদিন মাদ্রাসা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬২৯ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮ জন, অনুপস্থিত ছিল ১০ হাজার ৫৬১ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.১৫। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার ৫২৬ জন, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৯১ জন, অনুপস্থিত ২ হাজার ৮৩৫ জন, অনুপস্থিতির হার ২.১৭।

২৩ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩০ হাজার ১২৯ জন, অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ১৫ হাজার ৩৫১ জন, অনুপস্থিত ১৪ হাজার ৭৭৮ জন, অনুপস্থিতির হার ১.১।

মাদ্রাসা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৫৯ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ৩৪২ জন, অনুপস্থিত ১১ হাজার ৪১৭ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.৩৬। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০ জন, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৩৬ জন, অনুপস্থিত ২ হাজার ৭৩৪ জন, অনুপস্থিতির হার ২.১৫।

২২ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৫ হাজার ৯০৬ জন, অনুপস্থিত ১৪ হাজার ৯১৯ জন, অনুপস্থিতির হার ১.১৩।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬৫ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৪, অনুপস্থিত ১০ হাজার ৭১১ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.১৯। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯৩ জন, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ১৭৮ জন, অনুপস্থিত ২ হাজার ২১৫ জন, অনুপস্থিতির হার ১.৬৬।

আরও পড়ুন : হাটহাজারী-কর্ণফুলীতে দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা

২১ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৬ হাজার ৪৪০ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ জন, অনুপস্থিত ১৭ হাজার ৪৯০ জন, অনুপস্থিতির হার ১.২৪।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৩ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৩, অনুপস্থিত ১০ হাজার ৬৩০ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.১৬। কারিগরিতে পরীক্ষা ছিল না।

১৭ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৪ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৬১ জন, অনুপস্থিত ১৫ হাজার ৮১৩ জন, অনুপস্থিতির হার ১.১৬।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩০২ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৫, অনুপস্থিত ১১ হাজার ৯৬৭ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.২৮। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ২ হাজার ৫২৬ জন, অংশ নিয়েছিল ২ হাজার ৪০১ জন, অনুপস্থিত ১২৫ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.৯৫।

১৫ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৩ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৬৫ জন, অনুপস্থিত ১৫ হাজার ৬২৮ জন, অনুপস্থিতির হার ১.১৫।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৭৯ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮৯, অনুপস্থিত ১০ হাজার ৪৯০ জন, অনুপস্থিতির হার ৪.০৬। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪ জন, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ২৩৯ জন, অনুপস্থিত ২ হাজার ৮২৫ জন, অনুপস্থিতির হার ২.০৬।

১০ এপ্রিল
৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩০ জন, পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৯২ জন, অনুপস্থিত ১৪ হাজার ৭৩৮ জন, অনুপস্থিতির হার ১.১০।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২ জন, অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৫২ হাজার ২৮৯, অনুপস্থিত ৯ হাজার ৬২৩ জন, অনুপস্থিতির হার ৩.৬৭। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ২৩৬ জন, অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৯ জন, অনুপস্থিত ২ হাজার ৫৬৭ জন, অনুপস্থিতির হার ১.৯৬।

একদিকে পরীক্ষার্থী কম, অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতি নিয়ে এবার নানা আলোচনা চলছে। এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো অস্পষ্ট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এবারের এসএসসিতে অনুপস্থিতির সংখ্যাটা গত কয়েক বছরের চেয়ে বেশি। এটা আমরা লক্ষ করেছি। আসলে একটা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পাশাপাশি অভিবাবকের আয়, বাজার দর, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি, এসব কিছু নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারে প্রভাব পড়ে। আার যারা ড্রপআউট হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এসব সংখ্যা বেশি।

তিনি আরও বলেন, আবার ফরম পূরণ করার পরও যারা পরীক্ষায় বসেনি, তাদের পরিবারে নানা ধরনের যত্নের অভাব, আর্থিক অসচ্ছলতা, কারও বাবা নেই, কারও বাবা-মা থেকেও উদসীন, কেউ কেউ পরিবারের হাল ধরার জন্য কর্মসংস্থানে যোগ দেয়। এটাও এটা বড় কারণ। এ ছাড়া আমরা একটি গবেষণায় দেখেছি, উপকূলে অনেকে মৎস্য খাতে জড়িত থাকার কারণে তাকে টানা পরীক্ষায় থাকা সম্ভব হয় না। একটা সময় সে ফরম পূরণ করলেও আর সেই আগ্রহ ধরে রাখতে পারে না। তবে বাল্যবিবাহ, ঝরে পড়ার চেয়েও অন্য কারণগুলোর প্রভাব বেশি।