১৭ বছর আত্মগোপনে থেকে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, অবশেষে গ্রেফতার জঙ্গি এমদাদুল

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর ১৭ (সতের) বছর যাবৎ পলাতক ওয়ারেন্টভূক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।বৃহস্পতিবার ফেনী সদরের সার্কিট হাউজ এলাকায় এ অভিযান চালায় এটিইউ। সেখানেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

এন্টি টেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানান হয়।

আরও পড়ুন: অধ্যাপক জাফর ইকবালের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ হ্যাক

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামির নাম মো. এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্যাহ (৪৫)। তার পিতার নাম মাওলানা শামছুল হক। বাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার মান্দারী গ্রামে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত মো. এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্যাহ ও তার অন্য ১২ সহযোগী একত্রিত হয়ে বোমার সরঞ্জামাদি দিয়ে বোমা তৈরি করে বরিশাল শহরে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।বাংলাদেশ সরকারকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন, দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল মহানগরের কোতোয়ালি থানার ১৪৩/১২০(বি)/১২১/১২১(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। মামলার অন্য আসামিরা জামিনে আছে।

এটিইউ’র সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহিদা পারভীন জানান, এমদাদুল মামলা দায়েরের পরই আত্মগোপনে চলে যায়। সে ওমরা ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত অবস্থান করে। বেআইনি অবস্থানের দায়ে জেল খেটে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকতে শুরু করে। সে স্থানীয় মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে জঙ্গিবাদ বিস্তার এবং রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।