ইসির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পেছাল

ডা. সাবরিনা শারমিন
ডা. সাবরিনা শারমিন

জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আটক রয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ দিন ধার্য করেন। বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রনপ কুমার ভক্ত বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন: জেকেজি চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা গ্রেফতার

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন।

তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।

গত ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ৬ জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন তিনি।