শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন

পরিবেশ দূষণ নয়, মুক্ত করবে গাড়ি

উদ্ভাবিত গাড়ি ‘জেম’

প্রতিনিয়ত বিশ্বে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েই চলছে। আর কিছু বছর পরই বিশ্বে বিপর্যয় দেখা দিবে বলে শঙ্কা করছেন পরিবেশ বিশ্লেষকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশকে দূষিত নয় দূষণমুক্ত করবে এমন গাড়ি তৈরি করেছে নেদারল্যান্ডসের একদল শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নেদারল্যান্ডসের আইনধোবেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ৩৫ জন শিক্ষার্থী এই বৈদ্যুতিক গাড়িটি তৈরি করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জেম’। গাড়িটি রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে দূষিত বাতাস পরিষ্কার করবে বলে দাবি করেছেন নির্মাতারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশেষ এক ধরনের ফিল্টার এই গাড়ির ইঞ্জিনে লাগানো হয়েছে। যা বাতাসে যত না কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়বে, ওই ফিল্টারের সাহায্যে তার চেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড টেনে নেবে। বিশেষ ফিল্টারের মাধ্যমে বাতাস থেকে এক বছরে টেনে নেয় ২ কিলোগ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড।

আরও পড়ুন: জাবির ‘সি’ ইউনিটের দ্বিতীয় মেধাতালিকা কবে?

অর্থাৎ, এমন ১০টি গাড়ি এক সঙ্গে চললে একটি আস্ত গাছের সমান গুরুত্ব তৈরি হবে। একটি গাছ যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাস থেকে টেনে নেয়, সেই সমপরিমাণ গ্যাস টানবে ১০টি ‘জেম’।

তবে, এই গাড়ির কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের ক্ষমতা খুব বেশি নয়। কিন্তু নির্মাতারা বলছেন, যদি ‘জেম’ সকলে ব্যবহার করতে শুরু করেন, আর অন্যান্য গাড়ি যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, তা হলেই ঘটতে পারে বিপ্লব। সারা পৃথিবীতে ১০০ কোটির বেশি প্রাইভেটকার চলে। সব ক্ষেত্রে ‘জেম’ ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ অনেক কমে আসবে, আশাবাদী তারা।

এই গাড়ি তৈরী করতে সময় লেগেছে এক বছর। কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রচারমূলক ট্যুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গাড়িটিকে। বর্তমানে তা সেখানকার বিভিন্ন কোম্পানি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শন করা হচ্ছে।