১৬ আগস্ট ২০২২, ২১:১৬

কোনো স্ত্রীর কাছেই নয়, গার্ডার চাপায় নিহত রুবেলের লাশ গেল মেহেরপুরে

নিহত রুবেল  © সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট- বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে ভায়াডাক্টের অংশ বা বক্স গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে নিহত ৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টায় তিনটি অ্যাম্বুলেন্স পাঁচ মরদেহ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গ ত্যাগ করে।

অবশ্য ময়নাতদন্ত করার পর মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয় হাসপাতালে। সেখানে দুর্ঘটনায় নিহত আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের মরদেহ নিতে একে একে হাজির হন তার স্ত্রী দাবিদার সাত নারী।

তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কাউকেই রুবেলের মরদেহ দেয়া হয়নি। সমঝোতার ভিত্তিতেই শেষপর্যন্ত মরদেহ বুঝে দেয়া হয় রুবেলের ভাই জিয়ার কাছে। মরদেহ এরপর পাঠানো হয় তার গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে। বাকিদের মরদেহ গেছে জামালপুরে।

আরও পড়ুন: কেন ভাঙছে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকত?

প্রথমে নিহত ঝর্ণা আক্তার (২৭) ও তার দুই সন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়ার (৪) মরদেহ নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যায়।

এরপরই ফাহিমা আক্তারের (৩৮) মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আর সবশেষে আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের (৫৫) মরদেহ নিয়ে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যায়।

নিহত ঝর্ণা ও ফাহিমার ভাই মনির বলেন, আমি দুই বোন ও বোনের দুই সন্তানের মরদেহ বুঝে পেয়েছি। তাদেরকে জামালপুরে দাফন করা হবে। অ্যাম্বুলেন্স তাদেরকে নিয়ে জামালপুর রওনা দিয়েছে।

এবিষয়ে হৃদয়ের খালাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, রুবেলের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তাকে দাফন করা হবে।

এদিকে রুবেলের একাধিক স্ত্রীর বিষয়ে তিনি জানান, যদি কেউ এমন থাকেন তাহলে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।