সরকারের পতন ছাড়া এ জাতির মুক্তি হবে না: নুর
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘সরকারের পতন ছাড়া এ জাতির মুক্তি হবে না। জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গভবন ও গণভবন দখল করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, ‘মন্ত্রীসভায় নাকি আলোচনা হয়, দেশের এমন বারোটা বাজিয়ে যাব ওরা ক্ষমতায় এসে দেশ চালাতে পারবে না। আজ কিন্তু দেশকে সে দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ভবন যেমন দখল করা হয়েছিল, বাংলাদেশে সেটা বাকি রয়েছে। কাজেই এই দেশের জনগণকে সেটার প্রস্তুতি নিতে হবে। জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গভবন ও গণভবন দখল করতে হবে।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ‘আজ মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সরকার চাপাবাজি করে বলছে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। তাই তাদের জনগণকে নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। সরকার বুঝতে পারছে, তারা বিদায় নিলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই তারা মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। এই সরকারকে আর সুযোগ দেওয়া যাবে না।’
ভিপি নুর আরও বলেন, ‘আমরা যা খেয়ে বেঁচে থাকি সেই কৃষির উৎপাদন ব্যাহত হবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে। কৃষক কৃষিপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন করতে পারবে না। কৃষক ও প্রান্তিক মানুষ কৃষিকাজ ছেড়ে শহরে ভিড় জমাচ্ছে। তারা গার্মেন্টসসহ ছোট ছোট কারখানায় কাজ নিচ্ছে।’
নুর বলেন, ‘সরকার জানে ক্ষমতা হারানো মানে তাদের অস্তিত্ব বিলীন। তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তারা মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে প্রয়োজনে কামান দিয়ে বিরোধীদলকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সব বিরোধী দলের এক অভিন্ন উদ্দেশ্য-লক্ষ্য এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্রের গণতন্ত্রে উদ্ধার করা।’
আরও পড়ুন : শৈশবের প্রেমিকার জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডিভোর্স
তিনি আরও বলেন, ‘৮৪ টাকার ডলার এক মাসের ব্যবধানে খোলা বাজারে ১২১ টাকা হয়েছে। দেশ থেকে প্রতিবছর ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। টাকা পাচার হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কোন তথ্য নেই। সরকার বলেছিল, সুইস ব্যাংকে কারা অর্থ রেখেছে তার তথ্য চাইবে। কিন্তু গতকাল সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বললেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি। প্রতিবছর কিন্তু পাচারের হার বাড়ছে।’
এ সময় সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।