প্রধান অতিথি না করায় বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল বন্ধ করলেন চেয়ারম্যান
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইনাল খেলায় টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনকে প্রধান অতিথি না করায় খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। এসময় মাঠে উপস্থিত থাকা অতিথি ও শিক্ষকদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগও উঠেছে।
সেলিম হোসেন টংভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার আলিমুদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ফাইনাল খেলার আয়োজন করা হয় আলিমুদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে। দুপুরের মধ্যে বালিকাদের খেলা শেষ হয়। এতে জয়লাভ করে ২ নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এরপর বিকেলে বালকদের খেলা শুরু হলে মাঠে উপস্থিত হন ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম। তিনি মাঠে প্রবেশ করে ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসেবে তার নাম না দেখে সেখানে উপস্থিত সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় খেলাও বন্ধ করে দেন তিনি। পরে খেলাটি অসম্পূর্ণ রেখে সেখান থেকে সবাই চলে যান।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল: প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হয়েও যিনি একটি কাপ ভাঙার দায় এড়াননি
নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন এবং ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনকে ফুটবল টুর্নামেন্টটির চুড়ান্ত খেলায় সভাপতি হিসেবে রাখা হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষক জানান, ফাইনালের দিন ইউপি চেয়ারম্যান খেলার মঞ্চে দলবল নিয়ে উপস্থিত হওয়ার পর ব্যানারে তার নাম প্রধান অতিথি হিসেবে না রাখায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। সেসময় উপস্থিত স্কুল শিক্ষকদের তিনি অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে ফুটবল টুর্নামেন্টটি বন্ধ করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শুক্রবার সকাল ও বিকেলে টংভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। ইউপি চেয়ারম্যান শুধু শিক্ষকদের গালিগালাজ করেননি তিনি আমাকেও গালিগালাজ করেছেন। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন শুক্রবার বিকালে বলেন, ‘একজন ইউপি চেয়ারম্যান কোনভাবেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট বন্ধ করতে পারেন না। শুক্রবার বিকেলে শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারকে ডেকে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনেছি। এ বিষয়ে শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। শিক্ষকরা আমাকে লিখিত অভিযোগ করলে আমি আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’