০১ আগস্ট ২০২২, ১৮:১৩

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাড়ছে এইডস রোগী, ছড়িয়ে পড়ছে দেশে

রোহিঙ্গা ক্যাম্প   © সংগৃহীত

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এইডস (এইচআইভি) রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রাও। 

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত গত এক বছরে কক্সবাজারে ১১৫ জন রোহিঙ্গা ও ১০জন বাংলাদেশির এইডস শনাক্ত হয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এইচআইভি স্ক্যান করার কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গা আসার পর ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারে ৫৩৮ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ৩৯৫ জনই রোহিঙ্গা।

আরও পড়ুন: সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন গুগলের ‘ইন্টারভিউ ওয়ার্মআপ’ টুলে

তবে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫৪ জনে। তার মধ্যে ৭৭১ জনই রোহিঙ্গা। আর সঠিক এবং বিশালভাবে এইচআইভি স্ক্যান করা হলে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

এইচআইভি-এইডস নিয়ে কাজ করা এনজিও ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এইচআইভি ট্রিটমেন্ট সেন্টার সূত্রে পাওয়া গেছে ভয়াবহ চিত্র।

সূত্র বলছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসে ৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা তরুণীর যাতায়াত। তারা অনিরাপদভাবেই দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়দের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করছে। এতে কক্সবাজারে এই রোগ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গা যৌনকর্মী ছাড়াও পর্যটন শহর হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে যৌনকর্মীদের ব্যাপকহারে কক্সবাজার আগমনও এইডস বিস্তারের আরেকটি অন্যতম কারণ। 

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও এইচআইভি ফোকাল পারসন ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা ভিন্ন রোগ নিয়ে আসছে। চিকিৎসা পরীক্ষায় ধরা পড়ছে এইচআইভি।’

তবে, এইডস আক্রান্ত জীবিতরা কে, কোথায়, কোন অবস্থায় আছে তার কোনো হিসাব সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে নেই।

কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অনেক স্থানীয় যৌন সম্পর্কে জড়াচ্ছে।এছাড়াও কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোন এলাকায় শত শত রোহিঙ্গা নারীদের অবাধ বিচরণ। সেখানেও  যৌনকর্মে লিপ্ত হচ্ছে স্থানীয়সহ রোহিঙ্গারা। যদি সচেতনতা বাড়ানো যায়, তাহলে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি।’