ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে আবদুল রহিম নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশসহ বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মুমূর্ষু অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দুজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে আটক করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কালিনাথ রায় বাজার এলাকায় রোববার বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা সদর রোড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে বিএনপির কর্মীরা ইট-পাটকেল ছোড়েন। বিপরীতে পুলিশ সদস্যদের টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে দেখা যায়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির শোপন জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ টিআর শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হয়েছে। আহতদের ভোলা সদর ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় লোডশেডিং ও জ্বালানি তেলের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। বিক্ষোভ শেষে একটি মিছিল হওয়ার কথা ছিল।

‘সেখানে পুলিশ তাদের মতো দায়িত্ব পালন করেছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। সমাবেশ শেষে আমাদের মিছিল করার কথা আগে থেকেই বলা ছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অতর্কিত হামলা করে।’

ভোলা সদর থানার ডিউটি অফিসার কবির হোসেন বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলা হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নই।

ভোলা সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক নাফিজা কামাল বলেন, ‘বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ