পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু  © সংগৃহীত

করোনা মহামারির কারণে গেলো দুই বছর সীমিত সংখ্যক লোকের হজ পালনের সুযোগ পেয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর এবার ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে বুধবার থেকে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। হজ করতে যাওয়া ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় কাবা তওয়াফের মাধ্যমে হজ কার্যক্রম শুরু করেছেন। 

এবার করোনার বিধি নিষেধের কড়াকড়ি না থাকায় তাদের বেশীর ভাগই মাস্কবিহীন অবস্থায় হজ কার্যক্রমে যোগ দিয়েছেন। সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ১০ লাখ মুসলিম হজ পালনে মক্কায় সমবেত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। বাকিরা সৌদি আরবের নাগরিক।

মক্কায় মসজিদুল হারাম চত্বরে স্বর্ণালী হরফ খচিত কালো কাপড়ে আবৃত পবিত্র কাবাগৃহের ‘তওয়াফ’ এবং অল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দোয়া চাওয়ার মাধ্যমে হজের প্রথম আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। গোটা বিশ্বের মুসলমানরা এই পবিত্র কা’বার দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে সাদা এহরামের পোশাক পরিহিত নারী ও পুরুষরা কা’বা চত্বরে পাশাপাশি হেঁটে কা’বা শরীফ তওয়াফ করেছেন। তাদের বেশীর ভাগেরই মাস্ক ছিল না, যদিও কর্তৃপক্ষ গত মাসে বলেছিল কা’বা চত্বরে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক।

আরও পড়ুন: বাংলাসহ ১৪ ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা, যেভাবে শুনবেন

গত ২০২০ এবং ২০২১ সালের চেয়ে এবারের হজের সমাবেশ অনেক বড় তবে করোনা পূর্ববর্তী স্বাভাবিক হজের চেয়ে ছোট। ২০১৯ সালে হজে প্রায় ২৫ লাখ লোকের সমাবেশ হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা এই বার্ষিক হজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ইসলামের অবশ্য পালনীয় পাঁচটি স্তম্ভের একটি অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নাটকীয়ভাবে হজ যাত্রীদের সংখ্যা হ্রাস করতে বাধ্য হয় সৌদি সরকার।

২০২১ সালে সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন নেয়া মাত্র ৬০ হাজার সৌদি নাগরিক এবং সৌদিতে বসবাসকারী লোকদের হজ পালনের সুযোগ দেয়া হয়। যা ২০২০ সালের চেয়ে কয়েক হাজার বেশী। পবিত্র মক্কা নগরী এবং আশপাশের এলাকায় পাঁচদিনের বেশী সময়ে নিয়ম অনুযায়ী হজ পালন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।

আরাফাত ময়দানে সমবেত হওয়ার মূল অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার হাজীগণ মসজিদুল হারাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মিনায় যাবেন। আরাফাত ময়দানে সমবেত অনুসারীদের সামনে হযরত মোহাম্মদ (সা:) তাঁর বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার মক্কায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। 

মসজিদুল হারামের ভেতরে চিকিৎসা সেবাদানকারীরা বিভিন্ন জায়গায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছেন এবং হাজীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে স্বেচ্ছাসেবকরা হুইল চেয়ার নিয়ে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমান দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ অনেকগুলো স্বাস্থ্য সেবা দান ব্যবস্থা প্রস্তুত রেখেছে। ভ্রাম্যমান ক্লিনিক এবং অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রেখেছে।


সর্বশেষ সংবাদ