ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট  © সংগৃহীত

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। টিকিট বিক্রি চলবে ৫ জুলাই বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া মোবাইল অ্যাপ এবং ইন্টারনেটে ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমেও চলবে টিকিট বিক্রি।

রেল মন্ত্রণালয় জানায়, এবার রাজধানী থেকে প্রতিদিনের জন্য ২৬ হাজার ৭১৩টি আসনের টিকিট বিক্রি করা হবে। এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ রেলস্টেশনের কাউন্টারে এবং ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে কাউন্টার থাকবে।

এছাড়া একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। বিক্রি করা ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকেট ফেরত নেওয়া হবে না। স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।

রেলওয়ে আরো জানায়, আজ দেয়া হবে ৫ জুলাইয়ের টিকিট। ৬ জুলাইয়ের টিকিট ২ জুলাই, ৭ জুলাইয়ের টিকিট ৩ জুলাই, ৮ জুলাইয়ের টিকিট ৪ জুলাই এবং ৯ জুলাইয়ের টিকিট ৫ জুলাই বিক্রি হবে।

এছাড়া ১১ জুলাইয়ের ট্রেনের ফিরতি টিকিট ৭ জুলাই, ১২ জুলাইয়ের টিকিট ৮ জুলাই, ১৩ জুলাইয়ের টিকিট ৯ জুলাই এবং ১৪ ও ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে ১১ জুলাই। অনলাইন টিকিটের অর্ধেক ওয়েবসাইটে এবং অর্ধেক অ্যাপে বিক্রি করা হবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের সুবিধার্থে ৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। সেগুলো হলো- দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল, চাঁদপুর স্পেশাল ১, ২, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) ঈদ স্পেশাল, শোলাকিয়া স্পেশাল ১, ২।

আরও পড়ুন: বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রথম দিনেই কাউন্টারে ভিড়

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কমলাপুর দেখা গেছে, ভোর থেকে অগ্রিম টিকিটের জন্য টিকিট প্রত্যাশীরা লাইনে আছেন। টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন কাউন্টারের সামনে থেকে স্টেশনের বাইরে চলে গিয়েছে। তবে, শুধুমাত্র একটি গন্তব্যের জন্য হওয়ায় স্টেশনে আগের মতো ভিড় নেই টিকিট প্রত্যাশীদের।

অপরদিকে, স্টেশন ও যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় জন্য আর. এন. বি কন্ট্রোল রুম, পুলিশ কন্ট্রোল রুম এবং র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। তবে সেখানে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।

রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে আস আরেক টিকেট প্রত্যাশী সাব্বির জানান বলেন, রাত বারোটায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। প্রথম দিনেই যেন টিকেট পাই, এ জন্য রাতে এসছি।

উল্লেখ্য, কমলাপুরের প্রধান রেলস্টেশন থেকে শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (পঞ্চগড়) ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে এবং কমলাপুর শহরতলী প্লাটফরম থেকে রাজশাহী ও খুলনাগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ