বন্যাকবলিত স্কুল-কলেজের প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী: মাউশি
বর্তমানে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের নয়টি জেলা বন্যাকবলিত। আর এই বন্যা শিক্ষার্থীদের ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলছে। সরকারি তথ্যমতে, দেশের ১৮ জেলায় মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের পৌনে ৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থী বন্যাকবলিত। বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ১ হাজার ১০০।
রোববার (২৬ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর জানায়, বন্যার্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সিলেটে। সেখানে দুই লাখ ৮ হাজার ১৯৩ শিক্ষার্থী দুর্ভোগে রয়েছে। সুনামগঞ্জে এক লাখ ৭৪ হাজার ২৬২ শিক্ষার্থী পানিবন্দি।
মাউশির দেয়া তথ্যমতে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বন্যার্ত শিক্ষার্থীর পরিসংখ্যান পাওয়া গেলেও প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্যও এতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
তবে সিলেট বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কেবল সিলেট অঞ্চলের চার জেলা- সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৫ হাজার ৫৪টি। এর মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ৩ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত ছিল। বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ১ হাজার ১৪৮টি বিদ্যালয়। প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২ হাজার ৮২৮টি।
মাউশি আরও জানায়, রোববার (২৬ জুন) পর্যন্ত ১৮টি জেলার ৮৬টি উপজেলা বন্যাকবলিত। আর বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৮৫টি। এর মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সিলেটেই ৩৪২টি প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত হয়। আর সুনামগঞ্জে ২৬৫টি ও নেত্রকোনায় ১৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অন্যদিকে ১৮টি জেলায় ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী বন্যাকবলিত। সংগত কারণেই সিলেট ও সুনামগঞ্জে এই সংখ্যাটি বেশি।
আরও পড়ুন: বন্যার পানিতে ডুবে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু।
এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯১৭টিতে এখন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব না। আংশিক সম্ভব ১০২টিতে।
এছাড়া বন্যার কারণে ইতোমধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আসন্ন ঈদের পর আবার এই পরীক্ষা নেওয়ার সময়সীমা ঘোষণা করা হবে বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী ৩ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিন পবিত্র ঈদুল আজহা এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি আছে।