২৭ জুন ২০২২, ১৩:৩৮

পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খোলা নিয়ে যা বলছে সিআইডি

নাট-বল্টু খুলছে  © সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাটবল্টু খুলে নিয়ে টিকটক ভিডিও করা বায়েজিদ নামের সেই যুবককে আটক করার পর সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে সিআইডি।

সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেছেন, পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আমরা সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি, এত বড় একটা স্থাপনার নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা যাবে না। এতে বোঝা যায় নাট-বল্টু হাতে দিয়ে খোলা হয়নি, নাট-বল্টু খোলার জন্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সেতুর নাটবল্টু খোলা অন্তর্ঘাতমূলক কাজ। যারা এ কাজ করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আটক বায়েজিদের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে জানিয়ে রেজাউল মাসুদ বলেন, বায়েজিদ ছাড়াও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (২৬ জুন) বিকেলে বায়েজিদকে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে আটক করে সিআইডি। তার বাড়ি পটুয়াখালীতে।

আরও পড়ুন: কিভাবে খরচ হবে পদ্মা সেতুর টোলের টাকা

সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, বায়জিদ তালহা, তার একটি টিকটক আইডি রয়েছে এবং তার আরেক বন্ধু কায়সারের টিকটক আইডি থেকে গতকাল (রোববার) ৩০-৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড হয়েছে। ভিডিওটি আপলোড হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে বায়জিদকে শনাক্ত করে অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেপ্তার করি।

তিনি বলেন, রোববার সকাল ৭টা থেকে ১০টা-১১টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। বায়জিদ ও কায়সার দুই বন্ধু মিলে কারে করে যায়। বায়জিদ ড্রাইভ করছিল। জাজিরা প্রান্তের ৩০-৩৫ নম্বর পিলারের মধ্যে নেমে নাট-বল্টু খুলে ফেলে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, ব্যঙ্গ করে মানুষের ফিলিংসে আঘাত করে। প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে, এটা একটা অন্তর্ঘাতমূলক কাজ। এটা সাবোটাজের মতো আমাদের কাছে মনে হয়েছে। আমরা তাকে দ্রুত এরেস্ট করি। সিআইডি মামলাটি তদন্ত করেছে।

কীভাবে করেছে? জানতে চাইলে রেজাউল মাসুদ বলেন, আমরা তার কাছ থেকে ডিভাইস উদ্ধার করেছি, আরও কিছু ডিভাইস, তার আরও কিছু ভিডিও, আগের এক্টিভিটিজ দেখে মনে হয়েছে এটা অন্তর্ঘাতমূলক কাজ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কী জানা গেছে— জানতে চাইলে রেজাউল মাসুদ বলেন, সবকিছু বিবেচনায় আমরা মনে করছি এই কাজটা সে-ই করেছে, তার একটা প্ল্যান ছিল। বাকিটা তদন্তে আসবে।

বিস্তারিত জানতে চাইলে অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যান সিআইডি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা একদম ইনগ্রেডিয়েন্স আছে, কিছু প্রাপ্তি আছে, তার আগের এক্টিভিটি সব আমরা দেখছি। আপনারা যে ভিডিও দেখেছেন তার বাইরেও কিছু ভিডিও আমরা পেয়েছি।