‘যে মানুষের কৃতজ্ঞতা করে না, সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞতা করে না’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২২, ০৫:০৫ PM , আপডেট: ২৫ জুন ২০২২, ০৫:০৫ PM
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ জেলা রাজধানী ঢাকা এবং বাকি অংশের সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হয়েছে। শনিবার সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্রদান করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বারোটার দিকে মাওয়া প্রান্তে একটি উদ্বোধনী ফলক উম্মোচন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর থেকে সেতুর জন্য শুভ কমনা জানাচ্ছেন অনেকে। বাদ যাননি দেশের আলোচিত ধর্মীয় বক্তারাও।
ইসলামিক বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ নিজের ফেসবুকে পদ্মা সেতুর জন্য শুভা কামনা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘যে মানুষের কৃতজ্ঞতা (প্রাপ্য ধন্যবাদ) আদায় করেনা সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞতা আদায় করেনা।’’
তিনি আরও লিখেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ সংশিষ্ট সবাইকে আল্লাহ তায়ালা উত্তম বিনিময় দান করুন। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন রাত আর বর্ষার উত্তাল পদ্মা পারাপারের দুর্বিষহ স্মৃতি যাদের আছে তারাই উপলব্ধি করবেন পদ্মা সেতু কতটা আনন্দের! হে আল্লাহ! গর্ব অহংকার দূর করে আপনি আমাদের উত্তম কাজগুলি কবুল করে নিন। উত্তম কাজের যোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দিন।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতু বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি, আমাদের আবেগ: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনে দুই পাড়ে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছেন। মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে যদিও শুধুমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে সেখানে এসে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের আগে মাওয়া প্রান্তে এক সুধী সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও এই সেতু নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
শায়েখ আহমদউল্লাহ নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, পদ্মা সেতু আমাদের সম্পদ, দেশের অমূল্য সম্পদ। ফেরিঘাটে যে কত শত ঘণ্টা অপেক্ষার যন্ত্রণা সয়েছি— তার কোনো হিসেব নেই। গর্ব কিংবা অহংকার নয়, আল্লাহর নিকট অসংখ্য শুকরিয়া জানাই। হে আল্লাহ, এ সেতুকে আপনি আমাদের জন্য টেকসই ও উপকারী করুন।
আরেক আলোচিত ধর্মী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, ‘‘ফেরি পারাপারের ভোগান্তি দূর হোক। যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্মোচিত হোক এক অপার সম্ভাবনার দিগন্ত। অর্থনীতিতে যোগ হোক নতুন মাত্রা।’’