মধ্যরাতে সিলেটে ডাকাত আতঙ্ক, সতর্কতায় মাইকিং
গোটা সিলেট এখন ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত। বন্যার পানিতে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এখন প্রায় সর্বহারা। খাবার, নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার জন্য নৌকা পাচ্ছেন না ভয়াবহ বন্যায় আটকে পড়া অসহায় মানুষজন। কিংবা নৌকার আকাশচুম্বী ভাড়া পুষিয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যেতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেকেই। এমন দুরবস্থায় নৌকা নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আবাসিক এলাকা লেকসিটি, সুরমাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ডাকাত আতঙ্কে ভুগছে।
এবিষয়ে শনিবার মধ্য রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে মাইকিং করে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।আরিয়ান অয়ন নামের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপে একটি ভিডিও সংযোজন করে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, লেকসিটির ৭ নাম্বার রোডের শেষে একটু আগে একদল ডাকাত ঢুকেছে। এখানকার পরিস্থিতি অনেক বাজে। বন্যার আতংকের সাথে এখন চোর ডাকাতের আতংক ও শুরু হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: চরে আটকা পড়েছে লঞ্চের শতাধিক যাত্রী— সবাই শিক্ষার্থী, উদ্ধারের আকুতি
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিহা সায়মন পুস্প লিখেন, ফজল কমপ্লেক্স থেকে বলছি, কিছুক্ষন হল মাইকিং করলো পাশর্বতী এলাকায় নাকি ডাকাত পড়েছে। আমাদের সাবধান থাকতে বললো। ফজলে আমরা যারা মেয়েরা আছি,আমরা সবাই অনেক ভয় পাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আ.ফ.ম জাকারিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আমরা নৌকা পাইনা, ডাকাতরা নৌকা লইয়া এখন পাড়ায় পাড়ায়! নাহারী পাড়া-কানিশাইল ডাকাত আক্রান্ত! নৌকার মালিক-মোমবাতি-চিরা-মুড়ির ব্যবসায়ীরা আরো বড় ডাকাত! তিনি লিখেন, সুরমার তীরবর্তী পাড়াগুলোতে ডাকাতরা আছে। নদীতে টহল দিলে কাজ হবে! এছাড়াও তিনি লিখেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু দেখতেছিনা, বিশেষ করে যারা এখনো বিভিন্ন হল/রেসিডেন্সে আছেন। তারপরেও সাবধানে থাকবেন।
সর্বশেষ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহলে বের হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ডাকাতের খবর পাওয়া মাত্রই সিলেট +8801320118698 ( পুলিশের কন্ট্রোল রুম), +8801769176660 (সেনাবাহিনী কন্ট্রোলরুম)
এবং +8801626291577 ( ক্যাপ্টেন) এই নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ছাত্রলীগ সার্বিক বিষয়ে তৎপরতার সাথে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।