শিক্ষা ও স্বাস্থে বরাদ্দ বাড়ালে ক্ষতি হতো না: আতিউর রহমান

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে আগামী অর্থবছর। অর্থমন্ত্রী অনেকটা সংকোচনমুখী বাজেট দিয়েছেন। সংকট মোকাবিলার খাতিরেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাটছাঁট কাম্য ছিল না। বরাদ্দও খুব বেশি বাড়েনি। চাইলে এ দুই খাতে আরও সাহসী বা উদার হতে পারত সরকার।

রাজধানীর বাংলামটরে প্রতিষ্ঠানটির খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, জিডিপির অনুপাতে বাজেট ঘাটতি প্রয়োজনে আরও এক শতাংশ বাড়িয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ালে ক্ষতি হতো না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ। আতিউর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ বেশি সংকটে পড়বে। তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জোরালো প্রচেষ্টা থাকার দরকার ছিল। চলতি সংকট মোকাবিলায় মানুষের জন্য বেশি বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার ছিল। গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেলেও বস্তিবাসী ও শহরের উপকণ্ঠের মানুষ খুব একটা পান না।

আরো পড়ুন: শিক্ষার্থীরা স্কুলে না আসলে বাবা-মার কাছে মোবাইলে ম্যাসেজ চলে যাবে

তিনি বলেন, করোনায় শিক্ষায় যে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাজেটের অন্তত ২০ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য রাখা দরকার ছিল। রাখা হয়েছে ১২ শতাংশ। ল্যাপটপে ১৫ শতাংশ, মোবাইল ফোনে ৫ শতাংশ এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ডিজিটাল বৈষম্য বাড়াবে। শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়াকেও বাধাগ্রস্ত করবে।


সর্বশেষ সংবাদ