ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় যুবতীর আত্মহত্যা, ইউপি মেম্বার গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় ধর্ষণ মামলা দায়েরের চারদিন পর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় আত্মহত্যা করেছেন এক যুবতী। এ ঘটনায় নুরুল আমিন কচি নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ জুন) সকালে বন্দর উপজেলার বালিয়াগাঁও এলাকায় ঘরের আড়াঁর সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।পরে বেলা ১২টায় বন্দর থানা পুলিশ ওই যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
গ্রেফতার কচি কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। তার বাবার নাম জামির খান (মৃত)।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্দর উপজেলার বালিয়াগাঁও এলাকার মৃত জামির খানের ছেলে নুরুল আমিন ও একই এলাকার দিনমজুরের যুবতী মেয়ের সঙ্গে গত ২ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত নুরুল আমিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে।
গত কয়েকদিন ধরে কচিকে বিয়ের কথা বলে আসছিলেন শুভ্রা। কিন্তু কচি অবহেলা দেখান। গত ২২ মে সকাল পৌনে ১১টায় শুভ্রাকে ধর্ষণ করেন কচি।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে রাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) কচিকে বিবাদী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন শুভ্রার মা। রোববার (৫ জুন) শুভ্রার ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেন কচির স্ত্রী শ্যামলী বেগম। একই ভিডিও ভাইরাল করেন কচির বোন জামাই তাওলাদ হোসেনের ছেলে।
নিহতের মা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করার জের ধরে কচির স্ত্রী ও ভাগ্নে তার মেয়ের ভিডিও ভাইরাল করে দেন। যে কারণে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেন।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা আগেই মামলা করেছিলেন আত্মহত্যাকারীর মা। সোমবার বিচার সালিস বসিয়ে ভুক্তভোগীকে অপমান করে আত্মহত্যা প্ররোচনা ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের হয়।