শ্যালিকার সঙ্গে ছোট ভাইয়ের প্রেমের জেরে রাস্তা কাটলেন বড় ভাই
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় শ্যালিকার সঙ্গে ছোট ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বাসায় যাওয়া-আসার রাস্তা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভাঙাডিপ বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ পোস্ট দিয়েছেন হামিম। বিষয়টি নজরে এলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন ঘটনাস্থলে যান এবং বিষয়টি সুরহা করে দেওয়ার কথা জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ রাস্তার পূর্ব-দক্ষিণ পাশে মৃত সাহাবুদ্দিন প্রামাণিকের বাড়ি। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার ছিলেন তিনি। প্রায় ৪০ বছর আগে এই বাড়ি করেছিলেন তিনি। বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। স্ত্রীর আত্মীয় আশরাফুল আলমের জমি দিয়ে এ রাস্তা বানানো হয়েছে।
জানা গেছে, মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে হাসিব প্রামাণিকের সঙ্গে আশরাফুল আলমের মেয়ে আফরোজা বেগমের বিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে সাহাবুদ্দিন ও আশরাফুলের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। তবে বর্তমানে এ রাস্তাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। এজন্য এখন আর কোন রাস্তা নেই। রাস্তাটি জমির আইলে পরিণত হয়েছে। দু’পাশে ধান লাগানো হয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, মৃত সাহাবুদ্দিনের পাঁচ ছেলে। এদের একজন হাসিব প্রামাণিক। পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার হিসেবে কাজ করেন তিনি। হাসিবের ছোট শ্যালিকার সঙ্গে ছোট ভাই হাসান হাবিবের তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে কয়েক দফায় ঝগড়া-বিবাদও হয়েছে। তাই গতবছর হাসিব ওই রাস্তার দু’পাশ থেকেই কেটে নেন। হাসিবের মা মোরশেদা বেগমও ওই বাড়িতে থাকেন।
আরও পড়ুন : পিস্তল ঠেকিয়ে কলেজছাত্রীকে তুলে নিল দুর্বৃত্তরা
মৃত সাহাবুদ্দিনের ছেলে শাহিন প্রামাণিকের স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, প্রায় ৫ ফুট চওড়া ছিল রাস্তাটি। অটো-ভ্যান অনায়াসে আসা-যাওয়া করতো। রাস্তাটি কেটে নেওয়ায় চলাফেরা করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের অসুবিধা হয়। বাড়িতে যাওয়ার সময় পা পিছলে গিয়ে শাশুড়ি মোরশেদা বেগমের একটা হাত ভেঙে গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন জানান, ফেসবুকে দেখে সরেজমিনে গিয়েছিলাম। ফেসবুকে দেওয়া ছবিটি এক বছর আগের। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেব।
এ ব্যাপারে হাসিব প্রামাণিক জানান, আমার শ্বশুর মানবিক কারণে ওই রাস্তা দিয়েছিলেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এখন রাস্তা কেটে নিয়েছি। এতে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।