নিখোঁজ নয়, কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়েন সেই চার শিক্ষার্থী
নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর ওই চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তারা নিখোঁজ হয়নি, বরং উপার্জন করতেই স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছিল তারা। রোববার রাতে জেলা কারাগারের পেছনের একটি বাড়িতে তাদেরকে পাওয়া গেছে। পরে তাদেরকে পরিবারের নিকটে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার (৯ মে) জেলা পুলিশ সুপার এএইচএম কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন এসপি।
তিনি জানান, পরিবারে অনেক অভাব চলছিল। এজন্য কাজের সন্ধানে বাড়ি ছাড়েন তারা। কারোর প্ররোচনা ছিল না, স্বেচ্ছায়ই বের হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। এরপরও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ওই চার শিক্ষার্থীকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
নিখোঁজ চার বোন হলেন- জোবায়দা আক্তার (১২), সিমু আক্তার (১৪), মিতু আক্তার (১২) ও সামিয়া আক্তার নিহা (১৩)। জোবায়দা চরবসু গ্রামের মো. ইব্রাহিমের মেয়ে ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, সিমু মৃত আবুল খায়ের চুন্নুর মেয়ে ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, মিতু একই বাড়ির জয়নাল আবেদিনের মেয়ে ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী এবং নিহা শামছুল আলমের মেয়ে ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন।
আরও পড়ুন : চাকরির দাবিতে আমরণ অনশনে ঢাবি শিক্ষার্থী
জানা গেছে, নিহার নানাবাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর এলাকায়। তিন বোনকে নিয়ে নিহা শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নানাবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু সময় মতো তারা বাড়িতে ফেরেনি। পরে স্বজনরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, তারা নানাবাড়িতেও যায়নি। পরে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় নিখোঁজ সামিয়ার দাদি আকলিমা বেগম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ।