শেরে বাংলা জাতির জনকের গুরু ছিলেন: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গুরু ছিলেন। তিনি সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষের অত্যন্ত আপনজন ছিলেন। বাংলার কৃষক সমাজকে অত্যাচার শোষণ থেকে রক্ষা করেছেন। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন সরকারি ছুটি তিনি শুরু করেছেন।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী নেতা। আজকের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে আছে। সেই বিষবাষ্প থেকে আমরা বাংলাদেশকে এখনো উদ্ধার করতে পারিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লড়াই চলছে। আজকের এই দিনে আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শপথ করছি।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সময় প্রতিদিনই নিউ মার্কেট রণক্ষেত্র ছিল: ওবায়দুল কাদের
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মিঞা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র এবং আইনসভার সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও তার অবদান ছিল। ১৯৪০ সালে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি ২১ দফা দাবিরও প্রণেতা ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।