শসার কেজি ১ টাকা

শসাচাষি
শসাচাষি  © সংগৃহীত

রমজান এলেই বাজারে শসার দাম হয়ে উঠে অস্বাভাবিক। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে শসার ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ দিনাজপুরের শসাচাষিরা। এতে লোকসানে পরেছেন অনেক চাষি।

বিগত কয়েকদিনে শসার ভালো থাকলেও বর্তমানে শসার দাম কমেছে। এতে বীরগঞ্জের উপজেলার কৃষকদের থেকে মাত্র এক থেকে দেড় টাকায় শসা কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

চাষিদের অভিযোগ, রমজানের শুরুতে শসার দাম ভালো ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে শসার দাম কমতে শুরু করেছে। রমজানের শুরুতে ২০ থেকে ২৫ টাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হতো। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে লাভের আশায় থাকা শসাচাষিরা লোকসান গুনছেন।

ঝড়বাড়ি গ্রামের কৃষক সাকিল ইসলাম জানান, সবজির দাম চড়া থাকায় শসা চাষ করেছিলাম, এক টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি করতে দেখে চোখে পানি ঝরছে। এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করতে খরচ হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আশা ছিল, শসার ফলন ভালো হয়েছে, ভালো লাভ হবে, কারণ রমজান মাসে শসার চাহিদা ভালো থাকে। কিন্তু এখন লাভ তো দূরে থাক, উল্টো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। এরই মধ্যে ৩০ হাজার টাকা লস হয়েছে।

শসা চাষি সাকিল আহমেদ জানান, ৫০ কেজির শসার একটি বস্তা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে কষ্টে আমাদের বুক ফেটে যাচ্ছে। শসার ফলন ভালো হলেও বর্তমান বাজারে দাম না থাকায় খরচের টাকাও তুলতে পারছি না। শসা ছিঁড়তে যে খরচ, সে টাকাই উঠছে না, মূল দাম তো পরে।

পাইকারি ব্যবসায়ী আরিফুল হক জানান, বাজারে শসার ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা না থাকায় শসার দাম নেই। আজ দুই টাকা কেজি দরে শসা কিনেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর বীরগঞ্জ উপজেলায় ২৪৫ হেক্টর জমিতে শসা চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ জমির ফসল তোলা হয়েছে। চাহিদার বিপরীতে বাজারে শসার সরবরাহ কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় বাজারের শসার দাম কমে গেছে। কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ