‘উপার্জন, বাবা-মায়ের সেবা, স্কুলে যাওয়া’ সবই করেন সুলতান

পত্রিকা, ফল বিক্রি এবং পড়ায় ব্যস্ত সুলতান
পত্রিকা, ফল বিক্রি এবং পড়ায় ব্যস্ত সুলতান  © টিডিসি ফটো

নাম তার সুলতান। কতটুকই বা বয়স। ৫-৬ বছর হবে হয়তো। বিদ্যানন্দের স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। কিন্তু এ বয়সে পরিবারে হাল ধরতে তিনটি কাজের সাথে যুক্ত। সকালে পত্রিকা, বিকেলে ফল বিক্রি আর মাঝের সময়টাতে চায়ের দোকানে বয়ের কাজ করে। তিনটা চাকরি করলেও পড়ালেখা করতে ভুলে না। স্কুল সময়ে ঠিকই পৌছে যায় ক্লাস রুমে। শুনে অবাক হলেও এটাই সত্যি।

বাবা-মা দুজনই অসুস্থ। কোন কাজ করতে পারেনা তাই এই বয়সেই সুলতানকে পরিবারকে হাল ধরতে হয়েছে। অসুস্থ বাবা-মায়ের ঔষধ থেকে শুরু করে তাদের মুখে অন্ন তুলে দিতে সকাল-সন্ধ্যা
অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয় সুলতানকে। তবু দমে যায়নি সে। তার মুখের হাসি হাসি দেখে যে কারোরই মন গলে যাবে। স্বপ্ন দেখেন অনেক বড় হওয়ার।

আরও পড়ুন: অর্থাভাবে ঢাকা ছেড়েছেন গরিবের ডাক্তার বুলবুলের স্ত্রী

তার স্বপ্ন পূরণে সঙ্গী হয়েছেন বিদ্যানন্দ। এই বয়সে এত বড় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে পড়ালেখাটও চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে সুপার ম্যান বলে ডাকে। সত্যিই তো সে সুপার ম্যান।

গতকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) সুলতানের ছবি দিয়ে বিদ্যানন্দের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তারা একটি পোস্ট করেন সেখানে লিখেন, তিন চাকরি এই বয়সেই! সুলতান পত্রিকা বেচে সকালে, বিকেলে ফল বিক্রি করে; মাঝের সময়টাতে চায়ের দোকানে বয়ের কাজ করে। অসুস্থ বাবা-মায়ের ঔষধ থেকে শুরু করে সকাল-বিকালের খাবার নিশ্চিত করতে অমানুষিক শ্রম দিয়ে যায়।এর মাঝেও সে স্কুলে যায়। নয়টা বাজলে ভালো কাপড় পরে বইখাতা নিয়ে হাজিরা দেয় বিদ্যানন্দের প্রথম শ্রেণীতে। খুব মনোযোগী এই ছাত্রকে আমরা সুপারম্যান বলি, দোয়া করবেন যেন তাঁর স্বপ্ন যেন পূরণ করতে পারি। শুধু সুলতান নয়, এমন হাজার মুসলিম দরিদ্র শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার স্বপ্ন পূরণ করছে বিদ্যানন্দে আসা যাকাত ফান্ড। উল্লেখ্য মূলত দুস্থ পরিবারের আয়ের পথ করার পাশাপাশি শিক্ষায় আমরা ফোকাস করতে চাই।


সর্বশেষ সংবাদ