খালেদা জিয়াকে ‘উন্নয়নের কারিগর’ বলা সেই আওয়ামী লীগ নেতা বহিষ্কার

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই  © সংগৃহীত

যশোরের মনিরামপুরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘মুখ ফসকে’ খালেদা জিয়াকে উন্নয়নের কারিগর বলে দাবি করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই। এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। অবশেষে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাইকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন জানান, বক্তব্যের সময় আবদুল হাই মুখ ফসকে যা বলেছেন, সেটা অবশ্যই তিনি অন্যায় করেছেন। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে বহিষ্কার করতে পারেন না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান হাইকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, দলের সভায় রেজুলেশন করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হলে দলের সভাপতি শেখ হাসিনাই স্থায়ী বহিষ্কার করতে পারবেন।

তবে বহিষ্কারের চিঠি প্রাপ্তির ব্যাপারে জানার জন্য আবদুল হাইয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কলা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আবদুল হাই ইতোপূর্বে বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত খান টিপু সুলতানের হাতে ফুলে দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

আরও পড়ুন : পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে ডাস্টবিন বানালেন ববি শিক্ষার্থী

জানা গেছে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই বক্তব্য দেওয়ার মাঝপথে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের কারিগর হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় পাশ থেকে ভুল ধরা হলে তিনি সরি বলেন। এরপর তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের কারিগর দেশনেত্রী শেখ হাসিনা।’

আবদুল হাইয়ের বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

আবদুল হাই’র বক্তব্যকালে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর গৌর কুমার ঘোষ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক তপন বিশ্বাস পবন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ