ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা হলো না ঢাবি কর্মচারী সেলিমের

ঢাবি কর্মচারী সেলিম
ঢাবি কর্মচারী সেলিম  © সংগৃহীত

শবে বরাতসহ তিনদিনের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সেলিম। ছুটি শেষ করে ফেরার সময় তিনি দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। নছিমনের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হয়ে রোববার ভোর রাতে রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

সেলিমের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষের চর গ্রামে। ৪৮ বছর বয়সী সেলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

স্বজনরা জানান, তিন দিনের ছুটি পেয়ে সেলিম তার স্কুটার নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি আসেন। শনিবার দুপুরে তিনি কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের চান্দেরচর এলাকায় একটি বাঁশবোঝাই নছিমন তার স্কুটারকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা তাকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন- ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় মারা যায়নি, হত্যা করা হয়েছে’ 

এদিকে, কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে মারা যান। নিহত মাহবুব আদর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।

আদরের মায়ের দাবি, আমার ছেলে দুর্ঘটনায় মারা যায়নি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে যখন ট্রেনের ছাদে ছিল তখন ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছিল। ওই ছবিতে আমার ছেলের পেছনে একজনকে দেখা গেছে। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওকে খুঁজে পাওয়া গেলেই আমার ছেলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হবে।

তিনি আরও বলেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে আদরের সাথে আমার শেষ কথা হয়। তখন সে বলেছিল মা আমি কুষ্টিয়া যাচ্ছি। কার সাথে যাচ্ছ জিজ্ঞেস করলে সে জানায় অপরিচিত ব্যক্তির সাথে। এরপর রাত ১২টায় কল দিলে সে আর আমার ফোন ধরেনি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে খবর পাই আদর আর নেই।


সর্বশেষ সংবাদ