স্কুল-কলেজে এখনো অনুপস্থিত ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী, কারণ অজানা

দীর্ঘদিন পর পুরোদমে খুলে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
দীর্ঘদিন পর পুরোদমে খুলে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  © ফাইল ফটো

করোনা মহামারির অচলাবস্থা কাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে ক্লাস শুরু হলেও এখনো বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। মাধ্যমিকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকছে ক্লাসে। আর উচ্চ মাধ্যমিকে থাকছে ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ। অথচ এই দুই স্তরে স্বাভাবিক সময়ে অন্তত ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত থাকত। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন শাখার পরিচালক মো. আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিকে উপস্থিতি ৮০-৮৫ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা কম বলে জানা গেছে। অনুপস্থিত এসব শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তথ্য নেই কারোর কাছে। 

মাউশি কর্মকর্তা আমির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস চলাকালে অনেকেই আসত না। টিকা না দেওয়ায় অভিভাবকেরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠাতেন না। এখন করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। টিকদানের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও বাড়ছে।

আরো পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হয়নি

এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়লেও প্রাক-প্রাথমিকে সন্তোষজনক নয়। মঙ্গলবার প্রথম দিনে প্রাক-প্রাথমিকে অনুপস্থিত ছিল অনেক শিক্ষার্থী। তবে প্রাথমিকে অন্তত ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ। তিনি বলেন, সারা দেশে প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয় এক লাখ ৩৩ হাজার দুটি। কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য পাওয়া কঠিন। তবে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্লাসে অনুপস্থিত এসব শিক্ষার্থীরা ফিরে আসবে কিনা তা জানা নেই কােরোর। উদ্যোগও নেই। তবে করোরা টিকাদান শেষ হলে এ সংখ্যা বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। এখন উপস্থিতির দিকে নজর না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকাদানে আগ্রহ বেশি দায়িত্বশীলদের।

গত ফেব্রুয়ারি এবং চলতি মাসে কয়েক ধাপে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন পুরোদমে চলছে ক্লাস। মাউশি সূত্রে জানা গেছে, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক কোটি ৩৯ লাখ ৬৩ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় এক কোটি ১১ লাখ করোনার দুই ডোজ টিকা পেয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কত শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে তা নিয়ে এখন কোনো চিন্তাভাবনা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মনা নিশ্চিত করতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তারাও সমস্যাগুলো সমাধান করে দিচ্ছেন। এ ছাড়া স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছে মাউশি।


সর্বশেষ সংবাদ