২৫ মার্চ রাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না
আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাতে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। ওই দিন রাত ৯টা থেকে ৯টা এক মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাগুলো এই কর্মসূচির আওতায় থাকবে না। আজ সোমবার (১৪ মার্চ) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ২৫ মার্চ রাতে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। তবে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সভা করে আন্তঃমন্ত্রণালয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আরও পড়ুন- গণহারে অনার্স-মাস্টার্স পড়ানো হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
ওই সভায় বলা হয়, ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত এপিআই বা জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারাদেশে এক মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউট থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, গণযোগাযোগ অধিদফতর, সকল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সব উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৫ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণহত্যার ভয়াবহতায় চিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়া গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী হবে। ওই দিন সারাদেশে ২৫ মার্চের রাতে নিহতদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত/দোয়া বা প্রার্থনা হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলে কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।