জিপিএ-৫ পাওয়া সেই তামান্নার বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টে শিক্ষাবৃত্তির আবেদন
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির সন্তান তামান্না আক্তার নূরা। জন্ম থেকেই দুটি হাত, একটি পা নেই তার। এক পায়ে লিখেই প্রত্যেকটি পাবলিক পরীক্ষা পিইসি, জেএসসি, এসএসসিতে অর্জন করেছেন জিপিএ-৫। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলেও জিপিএ-৫ অর্জন করেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে তামান্না যখন পড়াশোনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তামান্না বলেন, ফোন রিসিভ করতেই ফোনের ওপাশের কন্ঠস্বর, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছিলাম। আমি কি তামান্নার সঙ্গে কথা বলছি।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট বাতিল হচ্ছে না
ফোনের ওপাশের কণ্ঠস্বর শুনে ঘাবড়ে যান তামান্না আক্তার নূরা। এরপর তাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষণিকের জন্য তামান্না বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে কেঁদেই ফেললেন। তাকে কান্না থামাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। কান্না থামিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম দেন তামান্না। এ সময় তামান্না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা এবং তার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রীকে পাশে চান।
প্রধানমন্ত্রী তার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি তামান্নাকে ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে’ একটা আবেদন করার পরামর্শ দেন। ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে তামান্নাকে সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুখ দিয়ে লিখে এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৫৮ পেলেন উজ্জ্বল
আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিব হাসান তামান্নার বাড়িতে গিয়ে এই আবেদন গ্রহণ করেন।
আবেদন করার পর তামান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন তিনি সবসময় আমার পাশে আছেন। তার পরামর্শে আমি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টে আবেদন করেছি। আমার স্বপ্নপূরণে পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইল।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, তামান্নার পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা। আশা করি, তামান্নার স্বপ্ন পূরণে আর কোনো বাধা থাকবে না।